আপডেট : ৩১ মে, ২০২৩ ২২:৪৩
এখনই বন্ধ হচ্ছে না কালুরঘাট সেতু
প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

এখনই বন্ধ হচ্ছে না কালুরঘাট সেতু

চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেল সেতু। ফাইল ছবি

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে না চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেল সেতুর সংস্কার কাজ। তাই ১ জুন তথা বৃহস্পতিবার থেকে এই সেতু বন্ধও হচ্ছে না।

বুধবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সেতু কবে বন্ধ হবে, আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। সম্ভবত জুনের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শুরু হবে। তাই জুনের মাঝামাঝিই সম্ভাব্য সময়।’

এদিকে কয়েকটি গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার থেকে কালুরঘাট সেতু বন্ধ থাকবে বলে সংবাদ প্রকাশিত হলে এখনো ফেরি চালু না হওয়ায় সেতু বন্ধের খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েন বোয়ালখালী এলাকার মানুষ।

বোয়ালখালীর কদুরখীল এলাকার বাসিন্দা কামরুল হোসাইন বলেন, ‘ফেরি চালু না করে সেতু বন্ধ করে দেয়ার কথা শুনে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েছিলাম। কারণ এখান থেকে অনেকেই শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ালেখা করে, অনেকে সরাসরি এখান থেকে অফিস করে। তবে এখন জানলাম সেতু আপাতত বন্ধ হচ্ছে না। ফেরি চালু করেই সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হোক। তা না হলে লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়বে।’

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষের চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াতের প্রধান পথ এই কালুরঘাট সেতু। তাই সেতু বন্ধ হলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে এই উপজেলার মানুষদের। সেতু সংস্কারের সময় বিকল্প হিসেবে কর্ণফুলী নদীতে দুটি ফেরি চালুর কথা জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ফেরি চালু হতে আরও এক মাসের মতো সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘ফেরি চলাচল শুরু করতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে আমাদের। আর এর মধ্যে সংস্কারকাজ শুরু করলে তারা (রেলওয়ে) নিশ্চয় বিকল্প ব্যবস্থা করবে।’

এর আগে নগরীর সার্কিট হাউজে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় জুন থেকে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরুর কথা জানিয়েছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

১২ টন ওজন বহনে সক্ষম এই রেল সেতুটি ১৯৩১ সালে চালু করা হয়েছিল। ১৯৬২ সালে রেলের পাশাপাশি সড়কও চালু করা হয়। সড়ক চালুর পর থেকে একপাশ বন্ধ রেখে অন্যপাশের যানবাহন পারাপার করা হয়। ৯০ বছরের পুরনো সেতুটি বর্তমানে ১০ টন বহনে সক্ষম। ব্রিজের স্প্যানগুলো পুরনো হয়ে গেছে।

পরামর্শক সংস্থা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞ দল ব্রিজটির স্প্যান, পাটতনসহ সব অংশের চিত্র তুলে আনে। এতে দেখা গেছে, ব্রিজটির মূল ১৯টি স্প্যানের মধ্যে আটটির অবস্থা খুবই খারাপ। এগুলো অনেকটা ক্ষয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন চলাচল অব্যাহত রাখতে সেতুটির দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।