মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ দুই বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।
শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সৌম্য নামে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে নিখোঁজ রয়েছেন নুরুল হক নাফিউ নামে অপরজন।
সৌম্য ঢাকার তেজগাঁওয়ের সরোজ দাসের ছেলে। আর নাফিউ নতুন বাজার এলাকার শরিফুল হকের ছেলে। দুজনেই ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন।
মাওয়া নৌপুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে সৌম্য-নাফিউসহ পাঁচ বন্ধু সকাল ৯টার দিকে মাওয়া এলাকায় আসেন। পরে স্পিডবোট নিয়ে তারা মাঝ পদ্মায় গোসল করতে যান। পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের কাছাকাছি গিয়ে পাঁচ বন্ধু নদীতে নামলে দুইজন পদ্মার স্রোতের তোড়ে নিখোঁজ হন।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে নৌপুলিশের একটি টিম পদ্মা নদীতে উদ্ধার কাজ শুরু করে। সোয়া ৪টার দিকে নিখোঁজ একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। অপরজনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে।
লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল পথে রয়েছে, তারাও এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেবে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা