রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হলের ডাইনিংয়ে খাবারের মান বাড়ানো ও কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের বর্ধিত মূল্য কমানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ১৭ হলের খাবার ঝুলিয়ে সেগুলোর মান পরীক্ষার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
রোববার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচি থেকে দাবি জানানো হয়। বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টে যৌথভাবে কর্মসূচি আয়োজন করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাগজে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নাম লিখে এবং প্যাকেটে হলের খাবার ঝুলিয়ে রেখেছেন অবস্থানকারীরা। এ সময় তাদের হাতে ‘ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধি করে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করো’, ‘ক্যাফেটেরিয়ায় পর্যাপ্ত মিল নিশ্চিত করো’, ‘ডাইনিং ও ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দাও’, ‘ক্যাফেটেরিয়াকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার বন্ধ করো’, ‘ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করো’সহ বিভিন্ন দাবি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খবারের মান নিম্নমুখী করে ক্রমাগত দাম বাড়াচ্ছে। এখন অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। ক্যাফেটেরিয়ায় এসি লাগানো হচ্ছে। অথচ খাবারের মান শূন্যের কোটায়। ক্যাফেটেরিয়ায় শিক্ষার্থীরা যেখানে ঠিকমতো খেতে পারে না, সেখানে এসি দরকার হয়! এসির চেয়ে আমাদের অনেক বেশি দরকার পুষ্টিকর খাবার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেটি নিশ্চিত করছে না।
শাকিল হোসেন আরও বলেন, মিলনায়তন সংস্কারে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে লুটপাটের হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়, কিন্তু স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে খাবারের প্রয়োজন তার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
মানববন্ধনে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্কারকাজে বাজেট বাড়ানো হয়। আমাদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের রিডিং রুম এত শিক্ষার্থী ব্যবহার করে যে মাঝে মাঝে জায়গার সংকুলান হয়। অথচ এর সংস্কারের কোনো প্রয়োজন মনে করে না প্রশাসন। কিন্তু নজরুল ইসলাম মিলনায়তন ও ক্যাফেটেরিয়ায় দফায় দফায় সংস্কার করা হচ্ছে। কারণ এগুলো সংস্কার করলে লুটপাট করা সহজ হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য, পড়ালেখা বা খাবারের বিষয়ে এই প্রশাসনের কোনো ব্যবস্থা নেই।
কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল। ছাত্র মৈত্রীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা