আপডেট : ৯ জুন, ২০২৩ ১৮:৩৮
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন আছে মনে করি না: তথ্যমন্ত্রী
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন আছে মনে করি না: তথ্যমন্ত্রী

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে বোয়ালখালী সমিতির বার্ষিক মেজবান ও কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: দৈনিক বাংলা

নির্বাচনকে যারা প্রতিহত করতে চায় তাদের সঙ্গে সংলাপ করে কোনো ফায়দা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কোনো সংলাপের কথা বলিনি। বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি না।’

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলাভিত্তিক সংগঠন বোয়ালখালী সমিতি, ঢাকার বার্ষিক মেজবান ও কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘আন্দোলন থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে সরকার সংলাপের কথা বলছে’-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা নির্বাচন ভন্ডুল করতে চায়, নির্বাচনকে প্রতিহত করতে চায়, তাদের সঙ্গে সংলাপ করে কোনো ফায়দা নেই। বাংলাদেশে নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বরং এ সমস্ত কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চান।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমির হোসেন আমু সংলাপ নিয়ে যেটি বলেছিলেন, পরের দিনই তিনি সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এবং প্রথমে তিনি যা বলেছিলেন সেটি তার নিজের অভিমত ছিল, আমাদের দল আওয়ামী লীগ, সরকার বা ১৪ দল কারও অভিমত ছিল না।’

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বোয়ালখালীবাসীর ভূমিকা স্মরণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনের অনেক সহযোদ্ধার বাড়ি এবং আস্তানা ছিল বোয়ালখালীতে। শহরের নিকটতম হওয়ায় বোয়ালখালীর মানুষ আগে থেকেই অন্য উপজেলার চেয়ে বেশি শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা ছিল। এই আধুনিক ও মোবাইল সংস্কৃতির যুগেও তাদের বলী খেলা এখনো প্রসিদ্ধ। চট্টগ্রামের মেজবান সংস্কৃতিও গত এক দশকে সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’

বোয়ালখালী সমিতির দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই কালুরঘাটে নতুন কর্ণফুলী সেতু হবে। পদ্মা সেতুর মতো সেটিতে রেল ও সড়ক দুই সংযোগই থাকবে। এই সেতু নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন নির্বিঘ্ন রাখতে বর্তমান ঐতিহ্যবাহী কালুরঘাট সেতুর সংস্কারেও হাত দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সড়ক দুই থেকে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর ফলে বোয়ালখালীতে শিল্পায়ন বাড়বে।’

গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নচিত্রের উদাহরণ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘১৪ বছর পরে বিদেশ থেকে ফিরে আজ বোয়ালখালীর মানুষ নিজের এলাকা চিনতে পারে না। আগে দিনমজুর, রিকশাচালকদের দিনে সাড়ে ৩ কেজি চালের সমান মজুরির জন্য আন্দোলন হতো, এখন ৫০ টাকা কেজি চালও দিনে ১০ কেজি কেনার মতো আয় তাদের। আগে বিদেশিদের পুরনো কাপড় ধুয়ে, আয়রন করে বাজারে বিক্রি হতো, এখন আমাদের রপ্তানি করা কাপড় বিদেশিরা পরে। গ্রাম-শহরের পার্থক্য ঘুচে গেছে। গ্রামের ছেলেরাও এখন থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরে।’

বোয়ালখালী সমিতি ঢাকার সভাপতি মো. লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান আনসারী, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবদুস সোবহান সিদ্দিকীসহ অন্যরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।