আপডেট : ১৬ জুন, ২০২৩ ১৩:০৮
মাধবপুরে ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
প্রতিনিধি, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)

মাধবপুরে ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের আবাদ করেছেন ৩০ জন কৃষক। বিঘাপ্রতি তারা এই ধানের ফলন পেয়েছেন ৩০ মণ, যা সাধারণ ধানের চেয়ে অনেক বেশি। বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের এই ধানের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

চৌমুহনী ইউনিয়নের চাষি সমিতি নামের একটি কৃষক সংগঠনের সহসভাপতি কৃষক ফজলুর রহমান জানান, হবিগঞ্জ (নাগুরা) আঞ্চলিক অফিস থেকে বিনা মূল্যে বীজ পেয়ে প্রথমবারের মতো তাদের চাষি সমিতির ৩০ জন কৃষক ব্রি উদ্ভাবিত এই জাতের ধান আবাদ করছেন। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় পেয়েছেন বিঘাপ্রতি ৩০ মণ ফলন। বিঘাপ্রতি আবাদের যে খরচ, ধান বিক্রি করছেন তার দ্বিগুণ টাকার। তাদের সাফল্যে এখন এলাকার অন্য কৃষকরাও এই ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে। উপজেলায় ৪৩ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও ফলন হয়েছে ৫০ হাজার টন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান বলেন, ব্রি উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের উচ্চফলনশীল ধানের বীজ প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের বিনা মূল্যে দেয়া হয়েছিল। মাধবপুর উপজেলায় এবারই প্রথম প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে এই ধান। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ খুবই কম থাকায় ফলনও খুব ভালো হয়েছে।

আল মামুন হাসান আরও বলেন, আগে থেকে সতর্ক করলেও অনেক কৃষক ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ জাতের ধান আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বঙ্গবন্ধু-১০০সহ ব্রির অন্যান্য জাতের ধান আবাদ করে লাভের মুখ দেখেছেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয় হবিগঞ্জের (নাগুরা) প্রধান কর্মকর্তা ড. পার্থ সারথি বিশ্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধু-১০০ হলো মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ধানের একটি জাত। এর চাল চিকন, খেতেও সুস্বাদু। এই চালের ভাত খেলে শিশুসহ সব বয়সী মানুষের শরীরে জিংকের চাহিদা পূরণ হবে এবং জিংকের অভাবজনিত বিভিন্ন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। প্রাথমিক পর্যায়ে কৃষকদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের বীজ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এখন বীজ সংরক্ষণের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।