মাহবুবউল আলম হানিফ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা-স্বাধিকারের প্রশ্নে আপসহীন এ দেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি এবং বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথে এগিয়ে চলা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার ঘটনাবহুল ও কর্মময় জীবনের পঁচাত্তর বছর পূর্ণ করেছেন। পিতার প্রদর্শিত পথে চলতে গিয়ে ষড়যন্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন বারবার। কিন্তু আপন ইতিকর্তব্য থেকে তাকে কেউ কিছুমাত্র টলাতে পারেনি। তিনি তার পিতার মতোই বাঙালিকে ভালোবেসে আপন সত্তাকে মাতৃভূমির সত্তার সঙ্গে একীভূত করে দিয়েছেন অবলীলায়, যার ফলে বাঙালির আর্থ-সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন তার দিবারাত্রির ধ্যান-জ্ঞানে পরিণত হতে পেরেছে। বাঙালির ভাগ্যোন্নয়নে নিজ নেতৃত্বের অপরিহার্যতা নিঃসংশয়ে প্রমাণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পঁচাত্তরের আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বিদেশে নির্বাসিত থাকা অবস্থাতেই শেখ হাসিনা ১৯৮১-এর ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং তার ঠিক তিন মাস পর তিনি স্বদেশে ফিরে আসেন। সে বছরের ১৭ মে শেখ হাসিনা যখন ঢাকা বিমানবন্দরে পা রাখলেন, তখন আমাদের তরুণ বয়স। সে দিনের সেই অবিস্মরণীয় দৃশ্য আজও আমার চোখে ভাসে। বাবা-মা, ভাই-বোন সবাইকে হারিয়ে আমাদের নেত্রী শোকে-তাপে, বিয়োগব্যথায় মুহ্যমান ছিলেন। তিনি তখন দুটি শিশুসন্তানের মা, তাকে খুব মনে পড়ে। মনে পড়ে তার অশ্রুপ্লাবিত চোখ, আর তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত আবেগমুখর জনতাকে দেয়া তার দুর্মর প্রতিশ্রুতি।
সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটির আগে বাংলাদেশের জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশে কেউ রাজনীতিক হিসেবে শেখ হাসিনার নাম শোনেনি। তার সেদিনকার ভাষণটিই ছিল বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেত্রী হিসেবে দেয়া তার প্রথম ভাষণ। অবশ্য বাংলাদেশের তৎকালীন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে রাজনীতির সঙ্গে যে তার অতিঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই? বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের (সাবেক ইডেন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজে) ছাত্রী থাকা অবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। ১৯৬৬-তে তিনি ছয় দফা আন্দোলনে অংশ নেন এবং কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। তখন আন্দোলনের বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঢাকার ৩২ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনেই গৃহীত হয় এবং তার বড় মেয়ে হাসিনা ছিলেন সেসবের প্রত্যক্ষদর্শী। এসব ঘটনা তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার বড় বলয়কে সমৃদ্ধ করেছে। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে পিতার অতি নিকটে থেকে নেত্রী রাজনীতিসহ সব জ্ঞান অর্জন করেছেন।
১৯৮১ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত টানা আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে সত্যি সত্যিই সামরিক স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করলেন তিনি। এ সময়কালের মধ্যে তাকে অন্তত দুবার গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দানে এক জনসভায় যোগ দিতে গেলে তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদ পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের নেতা-কর্মীরা মানবঢাল রচনা করে তাকে রক্ষা করলেও, সেদিন পুলিশের গুলিতে নিহত হলেন প্রায় ৩৪ জন মানুষ, আহত হলেন আরও অনেকে।
ক্রমবর্ধমান আন্দোলনের চাপে এরশাদ শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেও, সামরিক স্বৈরশাসন এবং স্বাধীনতা-বিরোধী ধর্মীয় মৌলবাদের অপচ্ছায়া সম্পূর্ণ দূর হয়নি। ১৯৯০-এর নির্বাচনে তাদের পেটোয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বদৌলতে বিএনপি জিতে গেল ভোট চুরির নির্বাচনে। শেষ পর্যন্ত ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে সরকার গঠন করেন। এরপর ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯-এর নির্বাচনগুলোতেও নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে তিনি পরপর তিনবার এবং মোট চারবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
জননেত্রী ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার কৃতিত্বগুলোর ওপর একবার চোখ বোলালে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা দেখতে পাই। উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ নিম্নরূপ:
১. ১৯৮১ থেকে ২০২২- টানা ৪০ বছর ধরে তিনি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি।
২. নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করেছেন চারবার এবং সরকার পরিচালনা করছেন টানা বারো বছরসহ মোট সতেরো বছর।
৩.’৭৫-পরবর্তী সময়ে তিনিই সামরিক স্বৈরতন্ত্রকে এবং মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধ শক্তিকে পরাভূত করে বিপন্ন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেন এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ইতিহাসের সঠিক ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যান।
৪. খন্দকার মোশতাক সরকার প্রবর্তিত কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের, স্বাধীনতাবিরোধী কুখ্যাত রাজাকার নেতাদের এবং জঙ্গি- সন্ত্রাসীদের বিচার ও ফাঁসি নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
৫. পেয়েছেন একত্রিশটিরও বেশি আন্তর্জাতিক পদক ও স্বীকৃতি।
৬. লিখেছেন চল্লিশটিরও বেশি বই।
৭. বিস্ময়কর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুসহ অবকাঠামো উন্নয়নে নবযুগের সূচনা করেছেন।
৮. দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১২ বছর আগের তুলনায় চার গুণ বাড়িয়ে ২,২২৭ ডলারে এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে সর্বকালের রেকর্ড উচ্চতায় (৪৮.৫ বিলিয়ন ডলারে) নিয়ে গেছেন।
৯. এইচডিআইসহ সব ইনডেক্সে বাংলাদেশকে তুলে দিয়েছেন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে।
১০.বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে সফল উপগ্রহ (বঙ্গবন্ধু-১) উৎক্ষেপণ করেছেন এবং বঙ্গবন্ধু-২ উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সারা বিশ্বের চোখে শেখ হাসিনা এক বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তার সমুদ্রবিজয় (নীল অর্থনীতি), ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ছিটমহল সমস্যার সমাধান, পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদন, বাংলাদেশকে পারমাণবিক বিদ্যুৎযুগে নিয়ে যাওয়া, ঢাকায় মেট্রোরেল ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, আইসিটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন, সফলভাবে করোনা মোকাবিলা প্রভৃতি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ও সাফল্যের মাধ্যমে। চিরকালের খাদ্যাভাবের একটি দেশকে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলেছেন। খাদ্যশস্য উৎপাদনসহ কৃষির সব খাতে তিনি নিয়ে এসেছেন অচিন্তনীয় সফলতা। দেশের লক্ষ লক্ষ গৃহহীন মানুষকে গৃহ দিয়েছেন।
বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও দেশবাসীর জীবন ও জীবিকার মধ্যে বিস্ময়কর সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জিডিপি ও রপ্তানি বৃদ্ধি, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন প্রভৃতিতে তার ভূমিকা সারা বিশ্ব বিস্ময়বিমুগ্ধ চোখে দেখে প্রশংসায় উচ্চকিত হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ, স্যানিটেশনসহ সব ক্ষেত্রে তার সরকার যে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে, তা আজ কারও দৃষ্টির অগোচর নয়, আর নয় বলেই বিশ্বসম্প্রদায় যার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হচ্ছে। শেখ হাসিনার সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হচ্ছে এসডিজি বাস্তবায়ন পুরস্কারসহ বহু নতুন পালক, আর সেইসঙ্গে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ উঠে যাচ্ছে একটি সমৃদ্ধ মানবিক দেশ হিসেবে এক অনন্য উচ্চতায়। এভাবেই আজকে শেখ হাসিনা হয়ে উঠেছেন জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনন-মেধা, সততা-নিষ্ঠা, প্রখর দক্ষতা এবং সৃজনশীল উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তার সফল ও ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন দেখছে ২০৪১-এর মধ্যেই স্বল্পোন্নত থেকে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার।
একজন মানবতাবাদী নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্বের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, বিশেষ করে পড়শি দেশ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ নির্যাতিত-নিপীড়িত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে। রোহিঙ্গা সংকটের মতো মানবিক সংকট মোকাবিলায় তিনি যে ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, তার জন্য সারা পৃথিবী তাকে সাধুবাদ জানিয়ে ‘মানবতার জননী’ অভিধায় ভূষিত করেছে। সুদক্ষ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে একদিকে যেমন তিনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন, তেমনি স্বদেশের স্বার্থরক্ষায় বিশ্বসভায় জোরালো বক্তব্য তুলে ধরে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর নেতাদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন।
নোবেলজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন তার ‘ভারত: উন্নয়ন ও বঞ্চনা’ বইটিতে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ সামাজিক উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাবে, এ কথা কেউ ভাবেনি। স্বাধীন হওয়ার পর অনেকেই তখন বলেছিলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কেউ কেউ তাকে ‘বাস্কেট কেস’ বলে খরচের খাতায় ফেলে দিয়ে বলেছিলেন, এ দেশকে কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য দেয়াই উচিত নয়। কারণ, সে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খাদ্য উৎপাদনও করে উঠতে পারবে না।... অথচ জীবনমানের নানা সুপ্রচলিত মাপকাঠিতে বাংলাদেশ (বর্তমানে) কেবল ভারতের চেয়ে অনেক ভালোই করছে না, ভারত থেকে অনেকটা এগিয়েও গেছে। অনেক সামাজিক সূচক, যেমন-গড় আয়ু, শিশুমৃত্যুহার, টিকা প্রদানের হার, প্রজনন হার এবং এমনকি স্কুলশিক্ষার কিছু মানদণ্ডে বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে।’
আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থাতেই আমাদের জাতীয় ইতিহাসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাহেন্দ্রক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়েছে। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রকৃত অর্থে বাঙালিকে একটি সত্যিকারের স্বাধীন রাষ্ট্র, জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংবিধান দিয়ে গেছেন। ঘাতকদের হাতে নিহত হওয়ার আগে মাত্র সাড়ে তিনটি বছর ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি উন্নয়নের যে ভিত্তি গড়ে দিয়ে গিয়েছেন, তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আজ তা পূর্ণতা পাচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪-এর ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মেহনতি মানুষের পক্ষে বাংলায় ভাষণ দিয়ে একজন বিশ্বনেতার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও পিতার মতোই জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়ে এবং সে-ভাষণে বর্তমান বিশ্বের সমসাময়িক নানা বিষয়, যেমন করোনার ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা, খাদ্যনিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব নিরসন প্রভৃতি বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করে পরিগণিত হচ্ছেন বিশ্বনেতা রূপে। তিনি ‘টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক’ (এসডিএনএস)-এর মাধ্যমে এসডিজি বাস্তবায়নে জাতিসংঘ পুরস্কার লাভ করেছেন এবং ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুটমণি’ অভিধা পেয়েছেন। প্রযুক্তিগত শিক্ষাদানে সফলতার জন্যে পেয়েছেন ইউনেস্কো পুরস্কার।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একাত্তরতম জন্মজয়ন্তীতে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রচিত মানপত্রে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন: ‘তোমার সপ্ততিতম-বর্ষশেষে একান্তমনে প্রার্থনা করি, জীবন-বিধাতা তোমাকে শতায়ু দান করুন; আজিকার এই জয়ন্তী-উৎসবের স্মৃতি জাতির জীবনে অক্ষয় হউক।’ প্রিয় বিশ্বনেত্রীর ছিয়াত্তরতম জন্ম বছরে আমাদের এই একই প্রার্থনা।
লেখক: সংসদ সদস্য, কুষ্টিয়া-৩ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা