থানার চত্বরে পড়ে থাকা বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা গাড়িগুলো অবহেলা আর অযত্নের কারণে দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে খোলা আকাশের নিছে পড়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন।
বিয়ানীবাজার থানা কর্তৃপক্ষ বলছে, গাড়িগুলো বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে আদালতের সিদ্ধান্তে জব্দ করা হয়েছে। তাই কোর্টের সিদ্ধান্ত না এলে এ ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই।
সিলেট তথা দেশের প্রতিটি থানায় দীর্ঘদিন ধরে এমনিভাবে পড়ে আছে লাখ লাখ টাকার গাড়িগুলো। তবে মাঝে মাঝে আদালতের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা এগুলো তদারকি করা হয় বলে থানা সূত্র জানিয়েছে।
কিন্তু বছরের পর বছর পড়ে থাকায় গাড়িগুলোতে মরিচা ধরে এখন প্রায় নষ্টের পথে। অবস্থা এমন যে, মেরামত করলেও গাড়িগুলো কোনো কাজে আসবে না। ফলে লাখ টাকার জিনিস নষ্ট হচ্ছে পড়ে থেকে।
থানা সূত্র আরও জানায়, মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে এ ব্যাপারে কিছু করতে পারছেন না তারা। অনেক সময় দীর্ঘ আইনি জটিলতা কাটিয়ে মালিকপক্ষ গাড়ি ফেরত পেলেও সেটির যন্ত্রাংশ ঠিক থাকে না। তা ছাড়া পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বা জায়গা না থাকায় গাড়িগুলোকে যত্ন করে রাখা যাচ্ছে না। থানা এলাকায় নির্দিষ্ট ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা নেই। তাই এখানে যতদিন যায়, ততই কমতে থাকে এসব গাড়ির মূল্য।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেট এসে এগুলো দেখে গেছেন। এর চেয়ে বেশি জানতে হলে আদালতের কথা জানান তিনি।
ঠিক একই কথা বলেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি আলী মাহমুদ। সেখানেও দীর্ঘদিন থেকে পড়ে আছে কোটি টাকা মূল্যের দুটি বিদেশি গাড়ি। কয়েক বছর আগে শেওলা স্থলবন্দরে কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশি এই গাড়ি দুটি অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছিল। মামলার কারণে দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে গাড়ি দুটি।
এদিকে একই চিত্র দেখা গেছে হবিগঞ্জের মাধবপুর থানা চত্বরে। এখানে জব্দকৃত গাড়ি দীর্ঘদিন ধরে অলসভাবে পড়ে থাকায় সেগুলোতে মরিচা ধরেছে।
জানতে চাইলে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিভিন্ন মামলায় জব্দকৃত এসব গাড়ির ব্যাপারে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা