জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমালয়ের হিমবাহ আগের চেয়ে দ্রুত গলছে। গবেষকরা বলেছেন, গত দশকের তুলনায় বর্তমানে হিমালয়ের হিমবাহ ৬৫ শতাংশ দ্রুত গলছে।
এএফপি জানায়, হিমালয়ের এই হিমবাহ প্রায় ২০০ কোটি মানুষের জন্য পানি সরবরাহ করে। হিমবাহ এভাবে দ্রুত গলে গেলে তাতে মানুষকে অনেক চড়া মূল্য দিতে হবে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। তারা মনে করছেন, এই শতাব্দীর শেষে হিমালয়ের হিমবাহগুলি ৮০ শতাংশ আয়তন হারাবে। তাতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে ওই এলাকা থেকে উৎপন্ন অন্তত ১০টি প্রধান নদী এবং তাদের যাবতীয় উপনদী ও শাখানদী।
নেপালভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট অব মাউন্টেন রিজিয়নস (আইসিআইএমওডি) গত মঙ্গলবার এই হিমবাহ নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গত দশকের তুলনায় হিমবাহগুলো ৬৫ শতাংশ দ্রুত গলছে।
গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ফিলিপাস ওয়েস্টার এএফপিকে বলেন, ‘হিমবাহ উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফ গলে যাবে। এটিই স্বাভাবিক। তবে এটি এত দ্রুত গলে যাওয়ার দিকটি অপ্রত্যাশিত এবং খুবই উদ্বেগজনক। আমরা যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক দ্রুত হিমবাহ গলছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, হিন্দুকুশ হিমালয় অঞ্চলের হিমবাহগুলো পাহাড়ি অঞ্চলের প্রায় ২৪ কোটি মানুষের জন্য এবং সংলগ্ন নদী উপত্যকার আরও ১৬৫ কোটি মানুষের জন্য পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
আইসিআইএমওডি বলেছে, বর্তমান নির্গমন বক্ররেখার ওপর ভিত্তি করে হিমবাহগুলো শতাব্দীর শেষ নাগাদ তাদের বর্তমান আয়তনের ৮০ শতাংশ হারাতে পারে। আন্তসরকারি সংস্থায় আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, চীন, ভারত, মিয়ানমার এবং পাকিস্তানও রয়েছে।
হিমবাহগুলো গঙ্গা, সিন্ধু, হলুদ নদী, মেকং এবং ইরাবদিসহ বিশ্বের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান নদীব্যবস্থার খাদ্য সরবরাহ করে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারা কোটি কোটি মানুষকে খাদ্য, শক্তি, বিশুদ্ধ বায়ু এবং আয় প্রদান করে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা