আপডেট : ২১ জুন, ২০২৩ ১২:৩৫
সিসিক নির্বাচন: বর্ধিত এলাকায় ভোটার উপস্থিতি বেশি, পুরোনোতে কম
সিলেট ব্যুরো

সিসিক নির্বাচন: বর্ধিত এলাকায় ভোটার উপস্থিতি বেশি, পুরোনোতে কম

বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে সিসিকের ভোটগ্রহণ। ছবি: দৈনিক বাংলা

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিটির ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে নতুন ১৫টি ওয়ার্ডে এবারই প্রথম ভোট হচ্ছে।

এদিন বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে নতুন ১৫টি ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি, তবে আগের (২৭টি ওয়ার্ডের) কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম। এসব ওয়ার্ডের অনেক কেন্দ্র ফাঁকাও দেখা গেছে। তবে ভোটকেন্দ্র ফাঁকা থাকলেও বাইরে ভিড় দেখা গেছে।

সকাল ১০টার দিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আম্বরখানা গার্লস স্কুল কেন্দ্রে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্র প্রায় ফাঁকা। একজন দুজন করে ভোটার এসে ভোট দিচ্ছেন।

ভোটার উপস্থিতি কম জানিয়ে এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার দিবেন্দু রায় বলেন, ‘এই কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৮৩৪ জন। প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৩৪টি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়তে পারে।’

নগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাকুমার পাঠশালায় গিয়েও ভোটারের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সেলিম আহমদ বেলা ১১টার দিকে জানান, তিন ঘণ্টায় ৩ হাজার ২০০ ভোটারের মধ্যে ৩০০ জন ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সকালে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এখন উপস্থিতি বাড়ছে।’

সকাল ১০টায় এই কেন্দ্রে ভোট দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবুল মোমেন। ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘যারা ভোটার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে, দেশের লোকজন তাদের ভোট দিতেই আগ্রহী নয়। আমাদের তো অনেক ভোটার এসেছে। প্রচুর নারীরা এসেছেন।’ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

নগরের সুবিদবাজার এলাকার আনন্দনিকেতন স্কুলে ভোট দেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। এ কেন্দ্রেও তেমন ভোটার দেখা যায়নি।

আনন্দ নি‌কেতন কে‌ন্দ্রে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ক্রা‌চে ভর দিয়ে ভোট দি‌তে আসেন ওহিদা বেগম নামে এক নারী। তি‌নি ব‌লেন, ‘আমার এই এক ভো‌টের জন্যও কেউ পাস বা ফেল কর‌তে পা‌রেন। তাই কষ্ট করে হলেও ভোট দিতে এলাম।’

পার্শ্ববর্তী শাহজালাল জামেয়া ইসলা‌মিয়া কা‌মিল মাদ্রাসা কে‌ন্দ্রে মা শিখা ঘোষ‌কে নি‌য়ে প্রথম ভোট দি‌তে আসেন শিপ্রা ঘোষ নামে এক নারী। তি‌নি ব‌লেন, ‘জীব‌নের প্রথম ভোট, তাও ইভিএমে, খুব ভা‌লো লাগ‌ছে।’

পুরোনো ওয়ার্ডগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২০ নম্বা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘পুরোনো ওয়ার্ডগুলোতে ভোটাররা কেন্দ্রে কম আসছেন, তবে নতুন ওয়ার্ডগুলোতে প্রচুর ভোটার কেন্দ্রে আসছেন।’

এবার প্রথম ভোট হওয়া ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের আল-জামেয়া আইডিয়াল একাডেমি কেন্দ্রে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন ভোটাররা।

কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চোধুরী নিশাতুর রহমান কোরেশি বলেন, ‘ভোট শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। কোনো ধরনের ঝামেলা নেই। এখন পর্যন্ত (বেলা ১১টা) ২০ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে।’

একই ওয়ার্ডের ইছরাব আলী হাইস্কুল কেন্দের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেলিম আহমদও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে ইভিএমে ভোটগ্রহণে একটু বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান তিনি।

নগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায়, ভোটারদের ভিড়। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি ভালো। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রের ৩ হাজার ৮৫ ভোটের মধ্যে ২০ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে।’