সিলেট সিটি করপোরেশনে ফের মেয়র পেল আওয়ামী লীগ। বুধবার অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
গত দুই মেয়াদে পূণ্যভূমি সিলেটের মেয়র ছিলেন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। তার আগের দুই মেয়াদে মেয়রের আসনে ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিক প্রয়াত বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান।
সিলেট সিটিতে বুধবার সকাল ৮টায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইভিএমে ত্রুটির অভিযোগ ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ হয়।
এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার অবস্থান থেকে বিএনপি সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোটেও আসেনি।
ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় গণনা। গণনার সঙ্গে সঙ্গে ফল ঘোষণা হতে থাকে। নগরীর জালালাবাদ গ্যাস অডিটরিয়ামে এ নির্বাচনের ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
১৯০টি কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এক লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। যদিও ঘোষণার মধ্যেই ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। বাবুলের দাবি, সবই নির্বাচন কমিশনের সাজানো নাটক।
নির্বাচনে মেয়র পদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম ৩ হাজার ৪০৫, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া ২৯ হাজার ৬৮৮, আব্দুল হানিফ কুটু ৪ হাজার ২৯৬, মোশতাক আহমদ রউফ মোস্তফা ২ হাজার ৯৫৯ ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ছালাহ উদ্দিন রিমন ২ হাজার ৬৪৮ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে প্রথমে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েও পরে সরে দাঁড়ান ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী মাহমুদুল হাসান। তার হাতপাখা ব্যালটে পড়েছে ১২ হাজার ৭৯৪ ভোট।
সিলেটে এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এবারই প্রথমবারের মতো সিলেটে ইভিএমে ভোট হলো।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা