ঈদুল আজহা উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে ভিজিএফের চাল কম দেয়া এবং বিতরণকালে ট্যাগ কর্মকর্তার অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার সকালে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা আক্তার ফাহিম ও মৎস্য কর্মকর্তা আ ন ম আশরাফুল কবিরকে সরেজমিনে তদন্ত করে চারটি ইউনিয়নের প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এরমধ্যে উপজেলার মাইজখাপন ও মহিনন্দ ইউনিয়ন পরিষদের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ফাহিমা আক্তারকে এবং লতিবাবাদ ও রশিবাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আশরাফুল কবিরকে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী জানান, এই দুজন কর্মকর্তা খুব শিগগির সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত প্রতিবেদনে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়ম এবং ট্যাগ কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার মাইজখাপন, মহিনন্দ, লতিবাবাদ ও রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, গরিব-অসহায় মানুষের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
দাঁড়িপাল্লায় ওজন করার কথা থাকলেও চাল দেয়া হচ্ছিল প্লাস্টিকের বালতিতে অনুমান করে। বিতরণ হওয়া চালের বস্তায় ১০ কেজি করে দেয়ার কথা থাকলেও ডিজিটাল ওজনযন্ত্রে মেপে দেখা যায়, কোনোটিতে ৭ কেজি ৭৭০ গ্রাম, কোনোটিতে ৮ কেজি ১০০ গ্রাম। সর্বোচ্চ যেটি পাওয়া গেছে সেটির ওজন ৮ কেজি ৬৫০ গ্রাম।
এছাড়া ট্যাগ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চাল বিতরণের কথা থাকলেও সেখানে তাদের দেখা মেলেনি।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ট্যাগ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ‘ভিজিএফে ১০ কেজির বদলে ৮ কেজি চাল, কাজে অনুপস্থিত ট্যাগ কর্মকর্তারা’ শিরোনামে প্রতিবেদনও প্রকাশ করে দৈনিক বাংলা। তারপর তদন্ত কমিটি গঠনের খবর মিলল।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা