নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার হোগলা ইউনিয়নে বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ওষুধ প্রয়োগ করে তাকে গর্ভপাত করানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া ও টাকা-পয়সা দিয়ে মীমাংসা করার অভিযোগও করেছে মেয়েটির পরিবার। গর্ভপাতের পর মেয়েটি অসুস্থ হওয়ার পর তার বাবা ঘটনাটি জানতে পেরে থানায় মামলা করেছেন।
গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে ধর্ষণের ঘটনাটি। পরে ঈদুল ফিতরের দিন মেয়েটিকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শহীদ মিয়া (৫৫) একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মামলা করেছেন মেয়েটির বাবা। মামলায় প্রধান আসামি করেছেন শহীদ মিয়াকে। এ ছাড়া গর্ভপাতে সহায়তা করায় শহীদ মিয়ার স্ত্রী জহুরা ও বোন মিনারাকেও আসামি করেছেন তিনি।
মেয়েটির বাবা জানান, গত ২৪ রমজান তার স্ত্রী বাড়ির সামনে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে শহীদ মিয়া তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। স্ত্রী জহুরা ও তার বোন মিনারাসহ শহীদ মিয়ার পরিবারের অন্য সদস্যরা মেয়েটির মাকে ভয়ভীতি দেখালে তিনি তার স্বামীর কাছে ঘটনাটি চেপে যান।
মেয়েটির বাবা বলেন, আমাকে বললে তারা আমাকে মেরে ফেলবে বলে জানায়। তাই আমাকে কিছু জানায়নি। কিন্তু ওই ঘটনার পর আমার মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তারা গত মাসের ২৯ তারিখে মেয়েকে ওষুধ খাওয়ায়। তখনো কেউ আমাকে কিছু বলেনি। মেয়ে অসুস্থ হয়ে গেলে আমার স্ত্রী আমাকে সবকিছু খুলে বলে। পরে আমি এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করে থানায় অভিযোগ করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
ওই কিশোরীর পরিবার আরও বলছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তাদের ওপর চাপ তৈরি করা হয়। পরে স্থানীয় একটি মহল টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্যও চাপ দেয়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত শহীদ মিয়া পালিয়ে যাওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই কিশোরীর পরিবার যোগাযোগ করলে ছুটিতে থাকায় তিনি থানায় কর্তব্যরত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিতে বলেন। অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহণ করে তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা