জাপানের ১০টি অঞ্চলের খাবার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। চীনের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গতকাল শুক্রবার এ ঘোষণা দেয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে জাপানের অন্যান্য স্থান থেকে আসা খাবারের তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা করারও পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াও জাপানি খাবারে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে।
আল-জাজিরা জানায়, ভূমিকম্প ও সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার বিতর্কিত পরিকল্পনায় বিরোধিতা করছে চীন। এদিকে চীন দক্ষিণ কোরিয়ার জাপানি খাদ্যপণ্যে নিষেধাজ্ঞা জাপানের মাছ ও সামুদ্রিক খাবার ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
জাতিসংঘ আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পানি শোধন করে সমুদ্রে নিষ্কাশনের জন্য গত মঙ্গলবার জাপানকে ছাড়পত্র দেয়। গতকাল শুক্রবার জাপানের ফুকুশিমা কেন্দ্র পরিচালনাকারী কোম্পানি টেপকোও একই অনুমতি দিয়েছে। জাপানকে মহাসাগরে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পানি ফেলার পরিকল্পনা আইএইএ অনুমতি দেয়ায় সবচেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। তারা জাপানের বিরুদ্ধে মহাসাগরকে তাদের ‘ব্যক্তিগত নর্দমা’ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ করেছে। বর্তমানে জাপানের পরিত্যক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ১ হাজারের বেশি বিশালাকৃতি ট্যাংকে ১৩ লাখ টনের বেশি বর্জ্য পানি রয়েছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা