‘বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিষয়ে প্রশ্ন করা বেখাপ্পা দেখায়’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিক্যাব টক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বিদেশে এমনটা হয় না’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এমপি ও মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি তার আগে রাষ্ট্রদূত ছিলাম। কিন্তু কোনো দেশে তাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে প্রশ্ন করিনি।’
মোমেন বলেন, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে ল্যান্ড অব অপারচুনিটির দেশ হয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য সবাই বাংলাদেশকে নিয়ে আগ্রহী। সবাই এখানে সুযোগ খুঁজতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘জিও পলিটিক্যাল লোকেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ও উন্নয়ন করায় অনেকের নজর পড়েছে।’
‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সংঘাতবিহীন হবে’ বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘তবে শুধু ইসি চাইলেও তা হবে না, যদি না দল, মত নির্বিশেষে সবাই চায়।’
মোমেন বলেন, ‘শান্তি ও স্থীতিশীলতা নষ্ট হলে দেশও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।’ তবে যেসব দেশ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা বলে, তাদের আয়নায় নিজের চেহারা দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করায় কাজ করছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল। সে ইমেজের পরিবর্তন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘ইকোনোমিক ডিপ্লোম্যাসি, পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি ও কালচার অব পিস— এই তিন প্যাকেজ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি।’
মোমেন বলেন, ‘প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে অমিমাংসিত বিষয়গুলো সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করেছি, মিয়ানমারের সাথে রোহিঙ্গা সংকট থাকলেও আমরা সদ্ভাব বজায় রেখেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো, তবে আমরা তাদের লেজুড় নই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ লোন নেয়ার বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকে। চীনা ঋণের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি আমাদের নেই। জিডিপি ঋণ রেশিও ৫৫ ভাগের বেশি হলে সেদেশের ঋণ ফাঁদে পড়া বলে, বাংলাদেশের মোট জিডিপি লোন রেশিও ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর চীনের সাথে ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সুতরাং চীনা ঋণফাঁদে পড়ার প্রশ্নই আসে না।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা