আপডেট : ৯ জুলাই, ২০২৩ ১৯:৩৫
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে হাসপাতালে রোগী ভর্তি-মৃত্যুতে রেকর্ড
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

চলতি বছরে ডেঙ্গুতে হাসপাতালে রোগী ভর্তি-মৃত্যুতে রেকর্ড

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ডেঙ্গু রোগীরা। ছবি: জাকিয়া আহমেদ

আগের দিনের রেকর্ড সংখ্যক রোগীকে পেছনে ফেলে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর নতুন রেকর্ড হয়েছে। আর এ সময়ে আগের মৃত্যুর রেকর্ডকেও পেছনে ফেলেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৩৬ জন। আগের দিন শনিবার ৮২০ জন। এ নিয়ে টানা দুইদিন ধরে হাসপাতালে ৮০০ এর বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ছয়জনের। চলতি বছরে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে গত ৪ জুলাই একদিনে পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৮৩৬ জনের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫১৬ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩২০ জন। বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে দুই হাজার ৭৫০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে রয়েছে এক হাজার ৯৬৯ জন আর অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৭৮২ জন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১২ হাজার ৯৫৪ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে ১০ হাজার ১৩১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া ছয়জনকে নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হলো ৭৩ জনের। চলতি বছরের মোট রোগীর মধ্যে চলতি মাসের প্রথম নয়দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে চার হাজার ৯৭৬ জন আর এ মাসে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১০৩৬ জন এবং জুন মাসে ৫৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন, মে মাসে দুজন এবং জুন মাসে ৩৪ জনের। গত বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬২ হাজার ৩৮২ জন । আর মৃত্যু হয় ২৮১ জনের-দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এটাই সর্বোচ্চ।

তবে ২০০০ সালে ডেঙ্গুর প্রার্দুভাবের পর সবচেয়ে বেশি রোগী হাপসাতালে ভর্তি হয় ২০১৯ সালে-যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। আর সে বছরে মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।