আপডেট : ২ অক্টোবর, ২০২২ ২২:১২
৬ গোলে নীল ইউনাইটেড, ইতিহাদে হলান্ডের ইতিহাস

৬ গোলে নীল ইউনাইটেড, ইতিহাদে হলান্ডের ইতিহাস

ম্যানচেস্টার ডার্বিতে গোলের পর আর্লিং হলান্ডের উচ্ছ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দাবি করতে পারে, ম্যানচেস্টার ডার্বি তো সমতায়ই শেষ হয়েছে!

প্রথমার্ধটা ম্যানচেস্টার সিটি জিতেছে, দ্বিতীয়ার্ধে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সিটি একটু বেশি গোলের ব্যবধানেই জিতেছে, এ-ই যা! প্রথমার্ধে ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল সিটি, দ্বিতীয়ার্ধে সিটির দুই গোলের বিপরীতে ইউনাইটেড গোল করেছে তিনটি।

কিন্তু ইউনাইটেডের ভাগ্য খারাপ, ফুটবল ম্যাচের ফল দুই অর্ধ মিলিয়েই হয়। তাতে অমন অসহায় প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে ইউনাইটেডের তিন গোল পাত্তাই পায়নি। গোলগুলো সামান্যতম প্রতিদ্বন্দ্বীতার ছাপ রাখলেও হতো। ইউনাইটেডের শেষ দুই গোল যে এসেছে ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে, ততক্ষণে সব শেষ।

ততক্ষণে ইতিহাদে ইউনাইটেড লজ্জায় লাল। ততক্ষণেই ৬-১ গোলে এগিয়ে সিটি, শেষ মুহূর্তে ইউনাইটেডের দুই গোলে ম্যাচটা শেষ হয়েছে সিটির ৬-৩ গোলের জয়ে। 

আর সিটির এমন ইংল্যান্ড কাঁপিয়ে দেওয়া জয়ের নায়ক? গত আগস্টে সিটিতে যোগ দেওয়ার পর ইংল্যান্ড মাতিয়ে রাখা আর্লিং হলান্ডই! আবারও হ্যাটট্রিক তার, তাতে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের মাঠে টানা তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিক পাওয়া প্রথম খেলোয়াড়ও বনে গেছেন। তবে আজ অবশ্য আলোটা শুধু হলান্ডের ওপরই নয়, হ্যাটট্রিক যে ফিল ফোডেনও পেয়েছেন। 

অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, হলান্ডের হ্যাটট্রিকও হয়তো কদিন পরে আর ‘ব্রেকিং নিউজ’ থাকবে না। প্রতিদিনই বিরিয়ানি খেতে থাকলে এক সময় বিরিয়ানির কথা আর আলাদা করে বলতে হয় নাকি!

নিজেদের মাঠে আগের দুই ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেস আর নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন। লিগে নিজেদের সর্বশেষ চার ম্যাচ জিতে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া ম্যান ইউনাইটেডকেও আজ প্যালেস-ফরেস্টের সারিতে নামিয়ে এনেছেন হলান্ড!

বিরতির ১০ মিনিট আগেও মনে হচ্ছিল, বিরতিতে বুঝি গার্দিওলা মাথা চুলকাবেন! দারুণ দাপুটে ফুটবলের পরও ৮ মিনিটে ফোডেনের গোলের বাইরে তখনো যে আর গোল পায়নি সিটি। এরপর? দৃশ্যপটে আগমন হলান্ডের! ৩৪ থেকে ৩৭- চার মিনিটে দুই গোল! ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা’য় সমতা ফেরাতে ৪৪ মিনিটে গোল ফোডেনেরও।

সিটি ৪-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলা না হলেও খুব বেশি ক্ষতি বৃদ্ধি হয়তো হতো না। প্রথমার্ধ শেষেই ‘মৃত’ ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে প্রাণ বলতে পাঁচটা গোলই। ৫৬ মিনিটে আন্তনির গোলটা অবশ্য হয়েছে দেখার মতো, বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শটে। তবে সেটিতেও ইউনাইটেডের প্রত্যাবর্তনের আশা কারও সম্ভবত জাগেনি। ইউনাইটেড প্রত্যাবর্তন তো দূরের কথা, প্রতিদ্বন্দ্বীতাও করতে পারেনি। উল্টো ৬৪ মিনিটে হলান্ডের হ্যাটট্রিক পূর্ণ হলো, ৮ মিনিট পর ফোডেনেরও।

এরপর শেষদিকে মার্শিয়ালের দুই গোল শুধু মনে করিয়েছে, স্কোরলাইনটা বুঝি ইউনাইটেডের পক্ষেই একটু বেশি বাড়িয়ে বলছে!