আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২৩ ১৫:১৮
‘এক সময়ের হিট পরিচালকও এখন মানুষের কাছে সিগারেট চেয়ে খায়’
বিনোদন প্রতিবেদক

‘এক সময়ের হিট পরিচালকও এখন মানুষের কাছে সিগারেট চেয়ে খায়’

সৈকত নাসির (বামে) ও রায়হান রাফি। ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে রায়হান রাফি পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটি। আফরান নিশো ও তমা মির্জা জুটির প্রথম সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির ৩য় সপ্তাহে এসেও দর্শকদের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। রায়হান রাফি বরাবরই নিজের কাজগুলো দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। গত ঈদে তার ‘পরাণ’ সিনেমাটিও পেয়েছে হিটের তকমা। এ ছাড়া রায়হান রাফির ‘দামাল’, ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’ সিনেমাগুলোও ছিল বেশ জনপ্রিয়। সেই জনপ্রিয়তা যেন তাকে অহংকারী না করে তোলে সেই দিকেই ইঙ্গিত দিলেন আরেক নির্মাতা সৈকত নাসির।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সৈকত নাসির একটি পোস্টে রায়হান রাফির উদ্দেশে কিছু কথা লিখেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘একজন নির্মাতা সফল হওয়ার পেছনে কী পরিমাণ স্ট্রাগল থাকে সেটা দর্শকের জানার কথা না। ২০১৫ সালে আমার অফিসে অভিনেতা শিমুল খান একটি ছেলেকে নিয়ে আসেন। ছেলেটি আমার কাজের একজন ভক্ত, গাজীপুর থেকে এসেছে। একদিন, দুইদিন, তিনদিন, এভাবে করে কয়েক দিন আসার পর আমি জানতে চাই সে কী করে? সে তার নির্মিত একটি শর্ট ফিল্ম দেখায়। সত্যি বলছি আমি খুবই সারপ্রাইজড হই। এক মিনিটে যা দেখিয়েছে। বলেছিলাম তোমার তো সিনেমা বানানো উচিত, তুমি জিনিয়াস।’

সেই ‘জিনিয়াস ছেলেটিই’ রায়হান রাফি জানিয়ে সৈকত নাসির লিখেছেন, ‘ছেলেটির জন্য আমি চেষ্টা করতে থাকি। জানি না কতটুকু উপকারে এসেছি তার, সে ভালো বলতে পারবে। কখনো সে এসব ব্যপারে কোনো মিডিয়াতে মুখ খোলেনি, তাই আমিও চেপে গেলাম। সেই ছেলেটিই আজকের রায়হান রাফি। রাফি তার প্রতিটি কাজ দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছে। দর্শকের পাল্‌স বোঝার অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে তার।’

২০১০ সালের পর কোনো নির্মাতা এতটা জনপ্রিয়তা পায়নি জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, ‘২০১০ সালের পর কোনো নির্মাতা রায়হান রাফির মতো এতটা পপুলারিটি পায়নি। এটি রায়হান রাফির জন্য যেমন সুখবর তেমনি বাংলা চলচ্চিত্রের জন্যও। রাফি যেমন দর্শকের কাছে নির্মাতা তেমনি আমার কাছে পরিবারের একজন সদস্য।’

কাউকে ছোট করে নিজের অর্জন যেন নষ্ট না হয়, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন সৈকত নাসির। লিখেছেন, ‘শুধু একটি কথাই বলব রাফিকে, এই সুনাম এই জনপ্রিয়তা তোমার প্রাপ্য। তুমি নিজের গুণে অর্জন করেছ। কাউকে ছোট করে তোমার এই কষ্টের অর্জনকে ছোট করো না।’

অহংকারী না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘পৃথিবীতে ভালো নির্মাতা হওয়ার চেয়ে ভালো মানুষ হওয়া খুব বেশি জরুরি। অহংকারীকে মানুষ যতটা ঘৃণা করে ঠিক ততটাই বিনয়ীকে মানুষ ভালোবাসে। বাংলা চলচ্চিত্রের ২০টি সিনেমা হিট দেয়া পরিচালক এখন মানুষের কাছ থেকে সিগারেট চেয়ে খায়। তুমি অনেক স্মার্ট, আশা করি আমার বক্তব্য তুমি বুঝতে পেরেছ।’