আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২৩ ১৭:১৫
মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!
প্রতিনিধি, শেরপুর

মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে চরশেরপুর হাইটাপাড়া গ্রামে পুকুরটিতে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। ছবি: দৈনিক বাংলা

শেরপুরে বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে সদর উপজেলার চরশেরপুর হাইটাপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে এ বিষ ঢালা হয়।

জানা যায়, ওই গ্রামের ৬৫ শতাংশ জমির পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে সরপুটি, কাতল, মৃগেলসহ বিভিন্ন কার্প জাতীয় মাছের পোনা চাষ করছেন আব্দুর রশীদ নামে একজন। গত কয়েক মাসে ওই পুকুরে মাছ ছাড়াসহ বিভিন্নভাবে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে তার। রোববার রাতে কে বা কারা পুকুরটিতে বিষ প্রয়োগ করে।

মাছ চাষি আব্দুর রশীদ বলেন, ‘রাতের আঁধারে কে বা কারা আমার পুকুরে বিষ দিয়ে পুকুরের সব মাছ ও রেণু পোনা মেরে ফেলছে। আমার সব শেষ। গত কয়েক মাসে এই পুকুরে আমি প্রায় দুই লাখ টাকার মতো খরচ করেছি। এখান থেকে আমি অন্তত ৩০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করতে পারতাম। এখানে আমার লাভ থাকত প্রায় ৫-৬ লাখ টাকা। আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমী কবছর এই পুকুরের মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে আমার কর্মচারী ও সংসার খরচ মেটাতাম। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদের চাচা শাইজউদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘আমার ভাতিজা দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে মাছের চাষ করছে। আমাদের এই পুকুরের সঙ্গে পাঁচটি পরিবার জড়িত। তারা সবাই আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে গেল। আমি দোষীদের বিচার চাই।’

প্রতিবেশী মাসুদ মিয়া বলেন, ‘মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা? দ্বন্দ্ব থাকলে মানুষে মানুষে রয়েছে। সেটার প্রভাব পুকুরের মাছে কেন পড়বে? এ ঘটনায় চাষি রশিদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। সে একদম নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কঠিন বিচার চাই।’

চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, ‘এ ঘটনা যেই ঘটিয়ে থাকুক, তার শাস্তি হওয়া উচিত। তারা আমাকে এখনো কিছু জানায়নি। আমি ঘটনাটি আপনার মাধ্যমেই শুনলাম।’