জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসের পাশেই অবস্থিত ‘কথিত টিএসসি’র পরিবেশ অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর। টিএসসির চারপাশে থাকা দোকানের ময়লা জমে পরিবেশ এতটাই নোংরা হয়েছে যে, শিক্ষার্থীদের সেখানে বসাই দায়।
বুধবার সরজমিনে দেখা যায়, টিএসসির অল্প এই জায়গার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা আবর্জনা। কোথাও কোথাও জমে আছে পানি। সেখানে বাসা বেঁধেছে মশা-মাছি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য একটি মাত্র ক্যাফেটেরিয়া। যেটি প্রায় বিশ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য খুবই অপ্রতুল ব্যবস্থা। এজন্য পাশের টিএসসির দোকানগুলোতে ভিড় করেন তারা। কিন্তু টিএসসির এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তমাল ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আসার কারণে সকালের নাস্তা ক্যাম্পাসে এসে করতে হয়। টিএসসির এ রকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেও বাধ্য হয়ে খেতে হয়। এতে মাঝে মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ি।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী রুকাইয়া জাহান বলেন, দোকানগুলোর আশপাশের পরিবেশে খুবই নোংরা। মশা জন্ম নেয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। কোনো দোকানে বসলেই মশা কামড়ানো শুরু করে। ভয়ে আছি, যেভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মুহিবুল্লাহ শেখ বলেন, আমরা সুস্থ, সুন্দর স্বাস্থ্যকর একটি পরিবেশ টিএসসিতে আশা করি। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
টিএসসিতে নিয়মিত চা বিক্রি করেন সিরাজ। তিনি বলেন, এখানে ময়লা পরিষ্কার করার কেউ নেই। আমরা নিজেরাই পরিষ্কার করি। চায়ের দোকানের ময়লা কম হলেও খাবারের দোকানের ময়লা বেশি হয়। তারা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ময়লা পানিতে কাঁদা হয়ে যায়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি না। ফলে তাদের কিছুই করার নেই।
এ ব্যাপারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী বলেন, আমরা নিয়মিত মশার ওষুধ দিচ্ছি। আমাদের লোকেরা প্রতিদিন ময়লাও পরিষ্কার করছে। তারা নিজেরা যদি নোংরা পরিবেশ করে রাখে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।
২০১৪ সালের হল আন্দোলনের সময় সমবায় ব্যাংকের মালিকানা থেকে জমিটি দখল করে শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে তারা জায়গাটিকে টিএসসি হিসেবে দাবি করে আসছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা