আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২৩ ১৭:০৯
হত্যার ২২ বছর পর চারজনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেট ব্যুরো

হত্যার ২২ বছর পর চারজনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটের গোইয়ানঘাটে দীর্ঘ ২২ বছর আগে তমজিদ আলী নামে এক জেলেকে হত্যার মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোয়াইনঘাট উপজেলার ইটাচকি গ্রামের আব্দুর রব, একই গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান, পার্শ্ববর্তী ইস্তি গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে রইছ আলী ও নুর মিয়ার ছেলে ফজল উদ্দিন।

সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফখরুল ইসলাম জানান, এ মামলায় বাকি ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

তিনি জানান, এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির সবাই জামিনে ছিলেন। তবে আজ রায়ের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া এ মামলায় মোট ১৫ আসামির ১০ জনকে খালাস দেয়া হয় এবং সাজিদুর হক নামের এক আসামি বিচার চলাকালে মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেটের গোয়াইনঘাটে ইস্তি গ্রামে খাল দখলকে কেন্দ্র করে হাত-পা বেঁধে দা দিয়ে কুপিয়ে জেলে তমজিদ আলীকে হত্যার পর মরদেহ হাওরে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা।

পরদিন তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম ১৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা (নং-৬ (৮)০০১) দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০২ সালের ২ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৩ সালের ৫ নভেম্বর সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান।

মামলাটি জিআর ৭৭/২০০১ মূলে আদালতে রেকর্ড করা হয়। ২০০৪ সালে এ আদালতে দায়রা ৩/২০০৪ মূলে রেকর্ড করে বিচার শুরু হয়। মামলায় দীর্ঘ শুনানিতে ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক সোমবার চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। সেইসঙ্গে অন্য সব আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।