আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২৩ ১৬:৫৩
সহিংসতার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে: বাংলাদেশ জাসদ

সহিংসতার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে: বাংলাদেশ জাসদ

বাংলাদেশ জাসদ

বিরোধী দলের অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ‘সতর্ক পাহারার নামে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ানো পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাসদ।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক এক বিবৃতিতে দলটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেছেন, ‘বিরোধী দল সরকারবিরোধী কর্মসূচি পালন করবে—এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সেই কর্মসূচিতে পুলিশ ও সরকারি দল নামধারীদের হামলা-বাধা দেয়া কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের আচরণ হতে পারে না। এ দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।’

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘দেশের জনগণ একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। রাজনৈতিক দলগুলো গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে তাদের প্রস্তাবিত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে আন্দোলন করবে এটাই স্বাভাবিক। সেই আন্দোলনকে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দমনের যে চেষ্টা সরকার করছে তা অগণতান্ত্রিক।’

জাসদের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, ‘পথে পথে পরিবহন আটকিয়ে মানুষকে তল্লাশি করা, মোবাইল ফোন পর্যবেক্ষণ ও গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে সরকার এক ভীতিকর পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে। বাসে আগুন দেয়ার ঘটনাগুলো রহস্যময় বলেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে। এসব নাশতামূলক ঘটনা আন্দোলনকারীদের ঘাড়ে চাপানোর হচ্ছে। এসব ঘটনা স্বাধীন তদন্ত করে উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন।’

সরকারকে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ‘আমরা বহুবার সরকারকে আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের পথ খুঁজতে বলেছি। সরকার সেই দিকে না হেঁটে বল প্রয়োগের মাধ্যমে তার মতামতকেই বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। আমরা সরকারের এমন দৃষ্টিভঙ্গি ও দমন-পীড়ন নীতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ক্ষমতাসীনদের এই অপকৌশল থেকে বেড়িয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।’

দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, ‘সরকারের এমন অবস্থান বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের পথকেও সুগম করছে যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা আশা করছি সরকার অচিরেই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানে সচেষ্ট হবে, অন্যথায় অনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতার দায় সরকারকেই নিতে হবে।’