আপডেট : ৩১ জুলাই, ২০২৩ ১৫:৫৯
সোহরাওয়ার্দীতে চলছে বিএনপির জনসমাবেশ
প্রতিনিধি, ঢাবি

সোহরাওয়ার্দীতে চলছে বিএনপির জনসমাবেশ

সোমবার বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির জনসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশ শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এতে দলের অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও বক্তব্য রাখবেন।

রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে ফুটওভার ব্রিজের পাশে উদ্যানের ভেতরে বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ বসানো হয়েছে। সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতা-কর্মীরা দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিতে থাকেন। এতে মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ এবং শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন সড়কে কিছুটা যানজট দেখা দেয়। তবে এই জট বেশিক্ষণ থাকছে না। মিছিলের নেতা-কর্মীরাই যানবাহনকে জায়গা করে দিচ্ছেন।

রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে গত শনিবার অবস্থান কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ করে তার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আযোজন করেছে বিএনপি।

সমাবেশে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে পুলিশ ভেবেছে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি বানচাল করে দেবে। যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই করা হবে। গ্রেপ্তার-জুলুম করে কোনো সরকার টিকে থাকতে পারেনি। শেখ হাসিনাও টিকে থাকতে পারবেন না। আমরা আমাদের কোনো নেতা-কর্মীর মুক্তি চাই না। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা তাদের মুক্ত করে আনবো।’

ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, ‘গত শনিবার আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান থেকে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়াসহ যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বলেন, ‘গত শনিবার তারা যখন আমাদের বাধা দিয়েছে আমরা এটি রুখে দিতে পারতাম। কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের এই অবস্থান, তাই কাউকে আঘাত করিনি। কিন্তু যেদিন আমাদের দল বিএনপি বলবে, প্রতিরোধ আর প্রতিশোধ, সেদিন এই আওয়ামী গুন্ডারা পালানোর জায়গা পাবে না।’

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা লড়াই করছি। লড়াই করছি ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু এই ভোট চোর সরকারের পুলিশ প্রশাসন আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। অবিলম্বে আমরা এই হাসিনার পদত্যাগ করিয়ে আমাদের এক দফা দাবি সফল করবো।’

কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘আমরা থামবো না। থামার জন্য আমরা মাঠে নামিনি। আমরা ভোটাধিকারের কথা বলবো। আমরা আমাদের সহযোদ্ধাদের রক্তের প্রতিশোধ নিতে স্লোগান দেব। কেউ আমাদের রুখতে পারবে না।’

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের সভাপতি হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আমাদের নেতা-কর্মীদের আহত-গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা মনে করেছে, এর মাধ্যমে আমাদের সমাবেশ থেকে বিরত রাখবে। কিন্তু তারেক রহমানের সৈনিকরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কখনো থামবে না।’

এছাড়া বক্তব্য দিয়েছেন মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) ও মহিলা দলের নেতারা।

বক্তারা বলেন, ‘স্টার জলসা থেকে নাটক শিখে নিশিরাতের সরকার নাটক শুরু করেছে। কিন্তু তাদের কোনো রঙ তামাশা কাজে লাগবে না। জনগণের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন হবেই।’