কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গাবাহী মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ থানায় মামলাটি করেন বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্র পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) হুসনে মুবারক। মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান।
এ মামলার প্রধান আসামি শহিদ উল্লাহ। তিনি টেকনাফের সাবরাংয়ের কাটাবনিয়ার হাসান আলীর ছেলে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আটক ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই ৬ জনের মধ্যে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছেন।
তারা হলেন- উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের রশিদ ও শরীফ, কক্সবাজারের মহেশখালী কুতুবজুম গ্রামের বাসিন্দা সেলিম, ও কোরবান আলী, ঈদগাঁর হাজিপাড়ার আবদুল্লাহ। তবে আটক আরেকজনের পরিচয় পুলিশ জানায়নি।
ওসি আরও জানান, বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোরে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ট্রলারডুবিতে তিন রোহিঙ্গা নারীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার দালালসহ ৪৮ জনকে উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড সদস্যরা। ওই ট্রলারে ৭০ জনের মতো যাত্রী ছিল। সে হিসাবে এখনও ২৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা