ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৫৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
অধিদপ্তর বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। তাদের নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হলো মোট ২৯৩ জনের। আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর। ওই দিনই ডেঙ্গু ইতিহাসে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়। এর আগে ২০২২ সালে সরকারি হিসাবে ২৮১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও এক হাজার ৭৫৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা নগরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৯২ জন, আর রাজধানীর বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৬৫ জন।
এদের নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হলেন মোট ৬১ হাজার ৪৭৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা নগরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৫৪ জন, আর রাজধানীর বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার ১৯ জন।
এই রোগীদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫২ হাজার ১৫৪ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন নয় হাজার ৩১৯ জন।
অধিদপ্তর জানায়, গত জুলাইয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের। ডেঙ্গুতে গত জুন মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন। সে সময় মারা যান ৩৪ জন। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন এবং মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন এবং এপ্রিল ও মে মাসে দুজন করে।
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ নজরে আসে ২০০০ সালে। এরপর সবচেয়ে ডেঙ্গু বেশি রোগী শনাক্ত হয় ২০১৯ সালে। সে বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন এবং মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০২২ সালে, ২৮১ জনের।
গত বছর ছাড়াও ১০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছিল ২০২১ ও ২০১৯ সালে। ওই দুই বছর মারা গিয়েছিলেন যথাক্রমে ১০৫ জন ও ১৭৯ জন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা