জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নেয়ার সময় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পাল্টা অভিযোগে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল রোববার দৈনিক বাংলাকে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রক্টর জানান, তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের হাউস টিউটর ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার ও সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সায়েদুর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সত্য ঘটনা উদঘাটন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তদন্ত কমিটির সদস্য ড. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

এর আগে গত সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সেবা নিতে এসে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সামিরা মাহমুদ মিথী ও দর্শন বিভাগের রিসাত আরার সঙ্গে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ দাশের কথা-কাটাকাটি হয়। দুজনের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে সৌরভকে টেনে হিঁচড়ে সেন্টারের বাইরে নিয়ে কয়েক দফা মারধর করেন। পরবর্তী সময় সৌরভ দাশ ও সামিরা মাহমুদ মিথী প্রক্টরের নিকট পাল্টাপাল্টি অভিযোগপত্র জমা দেন।