আপডেট : ৬ আগস্ট, ২০২৩ ২০:১৮
‘সরকারি হাসপাতালগুলো বাইরে থেকেও স্যালাইন কিনতে পারবে’
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

‘সরকারি হাসপাতালগুলো বাইরে থেকেও স্যালাইন কিনতে পারবে’

ছবি: সংগৃহীত

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতিরি মারাত্মক অবনতি হওয়ায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। এবার সরকারি হাসপাতালের নির্ধারিত এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) বাইরে থেকে স্যালাইন কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

খুরশীদ আলম বলেন, ‘দেশের সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন সরবরাহ করে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড-ইডিসিএল। তবে বর্তমানে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ইডিসিএল পুরোপুরি সরবরাহ করতে পারছে না। ইডিসিএল এখন সবার চাহিদা মত স্যালাইন দিতে পারছে না।’

আবার ইডিসিএলের তালিকাভুক্ত ওষুধ যদি হাসপাতাল বাইরে থেকে কেনে- তাহলে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে পানিশমেন্ট হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেগুলো ইডিসিএল দিতে পারবে না, সেগুলো বাইরে থেকে কিনতে হলে তাদের একটা এনওসি (অনাপত্তি সনদ) লাগে। আমরা সবাইকে এনওসি দেয়ার ব্যবস্থা করছি- যাতে এখন স্যালাইন কিনে নিতে পারে।’

অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, ‘স্যালাইন কেনার জন্য হাসপাতালগুলোকে আলাদা অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা এই টাকা খরচ করতে পারবে সেই এখতিয়ারও তাদের দেয়া হয়েছে।’

বর্তমানে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য পর্যাপ্ত কিট আছে। এজন্য সরকারি হাসপাতালে আসতে হবে। সব জায়গায় আমাদের এই পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। প্রতিটি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কিট দেয়া আছে। তো লোকজনকে তো আমাদের হাসপাতালে আসতে হবে। আমাদের কাছে আসলে আমরা টেস্ট করব। বেসরকারি হাসপাতালগুলো কোথা থেকে কিট কিনছে, সেটার দাম কী নিচ্ছে তা আমার জানা নাই।’

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরে ডেঙ্গুর ভয়াবহ মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ইতোমধ্যেই গতবছরের সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডকে পেছনে ফেলে চলতি বছরে ৩১৩ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। এর আগে গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়। ওই বছরে ২৮১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর। কিন্তু চলতি বছরের গত ৩ আগস্ট সে রের্কড ভেঙে যায়। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৬ হাজার ৭৩২ জন। বাংলাদেশে এর আগে কেবল ২০১৯ সালে এরচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছিল। তবে ভর্তি রোগী ও মৃত্যুর এই সংখ্যা সামনে আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।