কুমিল্লায় চিকিৎসা শেষে মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারলেন না বগুড়ার রিফাত আল হাসান (৩৬)। বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় মাসহ নিহত হয়েছেন রিফাত। এ দুর্ঘটনা মোট নিহত ৬ জন। আহতের সংখ্যা ৪০।
রিফাত আল হাসান বগুড়ার জলেশ্বরীতলার বাসিন্দা ও প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিনের ছেলে। এলাকায় তিনি (রিফাত) সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রিফাতের মা মালিকা বানু কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
হেলাল উদ্দিন জানান, প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা সেনানিবাসে মেয়ের বাসায় যান মালিকা বানু। ছেলে রিফাত মাকে আনতে মঙ্গলবার কুমিল্লায় যায়। সেখান থেকে মাইক্রোবাসে করে বগুড়ায় ফিরছিল মা-ছেলে। পথে টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় মারা যায় তারা।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা একতা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসের ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজন মারা যান। মরদেহগুলো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে।
ওসি বলেন, নিহতদের মধ্যে দুজন বগুড়ার। বাকিরা হলেন, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান গ্রামের আব্বাছ আলীর ছেলে তাহসিন (৬), পাবনার বেড়ার জোরদহ গ্রামের জহিরুল ইসলাম (৫৫), কুমিল্লার চান্দিনার কুটুম্বপুর গ্রামের সুশীল চন্দ্র শীল ও দুলাল হোসেন (৫০)।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা