মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জঙ্গি সন্দেহে আরও ১৭ জনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। সোমবার সকালে আছকরাবাদ বাজার থেকে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে। পরে তাদের কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়। সন্ধ্যায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) সদস্যরা সেখানে পৌঁছায়।

রাতে সিটিটিসি প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পাহাড়ে আরও জ‌ঙ্গি আস্তানার সন্ধান মিলেছে। আগামী মঙ্গলবার সেখানে অভিযান চালাবে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম।’

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আটকরা জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদ কাফেলার সদস্য বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আমরা আগেই বলেছিলাম যে তাদের আরও আস্তানা এখানে আছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখানে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা ছিল। সেটি বুঝতে পেরেই তারা আস্তানা থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল। তারপর এলাকাবাসী তাদের আটক করে। তাদের মধ্যে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারও আছে। তাদের গভীর জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তবে অভিযানের স্বার্থে তাদের নাম, পরিচয় কিংবা অন্য কিছু এখন বলা যাবে না।’

কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মহিবুল ইসলাম আজাদ জানান, সোমবার সকালে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইউনিয়নের আছকরাবাদ বাজার থেকে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে।

কর্মধা ইউনিয়নের কালেক্টর মাওলানা ছালিক আহমদ জানান, আটকদের মধ্যে একজনের পায়ে সমস্যা রয়েছে। তিনি ‘ইমাম মাহমুদ কাফেলা’র প্রধান। এ ছাড়া রয়েছেন পালিয়ে থাকা সিরাজগঞ্জের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সোহেল তানজিমও।

গত শনিবার ভোরে জেলার কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টিউলি যুগিটলা নামক ওই পাহাড়ি টিলায় সিটিটিসি ও সোয়াত অভিযান চালায়। অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন হিলসাইড’। এ সময় সেখান থেকে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়।