আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:৫৫
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জাতীয় শোক দিবস পালন
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জাতীয় শোক দিবস পালন

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে।

জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারসহ এ ঘটনায় শাহাদতবরণকারী সবার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যাওয়া বিমানের প্রতিটি বহির্গামী ও আগমনী ফ্লাইটে জাতীয় শোক দিবসের ঘোষণা প্রচার করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিমানের প্রধান কার্যালয়, মতিঝিল বিক্রয় অফিসসহ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক স্টেশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং শোক ব্যানার স্থাপন করা হয়। বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি ফ্লাইটের সব ক্রু শোক ব্যাজ ধারণ করেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে প্রধান কার্যালয় বলাকা ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। ওই দিন সকালে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকার লবিতে ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও (অতিরিক্ত সচিব) শফিউল আজিম এবং সভাপতিত্ব করেন বিমানের পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ (যুগ্ম সচিব) মো. ছিদ্দিকুর রহমান। এ ছাড়া বিমানের পরিচালকরা, বিমানের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এবং সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিউল আজিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে বিদেশি শক্তির শোষণ ও দাসত্ব থেকে মুক্ত করে স্বাধীন, সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি ব্যক্তি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাইকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন। দুর্নীতি, ঘুষ ও সুদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। যে মহান নেতার নেতৃত্বে দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয় ঘটল, তাকেই দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নির্মমভাবে হত্যা করল। উন্নত দেশগুলো বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত না পাঠাতে আইনের বেড়াজাল তৈরি করেছে, অথচ তারাই আইন ভঙ্গ করে স্বাধীন দেশসমূহের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে থাকে। জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

১৫ আগস্ট বাদ জোহর জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারসহ এ ঘটনায় শাহাদতবরণকারী সবার বিদেহ আত্মার মাগফিরাত কামনার্থে বিমানের সব মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবং দুপুরে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত সরকারি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি) থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়।