রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেছেন, “রাজশাহী মহানগরীতে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ শীর্ষক চলমান সচেতনতামূলক কর্মসূচি জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই গ্রহণ করা হয়েছে। পাম্প মালিক ও কর্মচারীরাও সচেতন হয়ে পুলিশের সঙ্গে একাত্ম হয়ে এই কর্মসূচি পালন করছেন। বর্তমানে হেলমেটবিহীন চালকদের আইনের আওতায় আনা হলেও খুব শিগগির আরোহীদেরও হেলমেট না থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে।”
বুধবার বেলা ১১টায় ট্রাফিক আইন প্রতিপালন-সংক্রান্ত চালক ও অভিভাবকদের সচেতনতা সভায় তিনি এসব বলেন।
আরএমপি কমিশনার বলেন, “ঢাকার প্রতিটি মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী হেলমেট নিয়ে চলাচলে অভ্যস্ত। ঢাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ যদি হেলমেটে অভ্যস্ত হতে পারেন, তাহলে রাজশাহীর পাঁচ-ছয় লাখ মানুষ কেন পারবেন না। হেলমেট নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য জরুরি। ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ এই কার্যক্রম প্রথমে ঢাকায় শুরু হয়ে সফল হয়েছে। আমার ধারণা রাজশাহীতেও সফল হবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘এই অভিযান শুরু হয়েছে এটা নাগরিকদের শৃঙ্খলা ও সড়ক নিরাপদ রাখার জন্য। আপনারা সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে এই শহর হবে নিরাপদ। আগামী দিনে এই সচেতনতা কার্যক্রম স্কুলে চালু করব। সপ্তাহখানেকের মধ্যে আমাদের অফিসাররা শিক্ষার্থীদের রাস্তায় চলাচল ও ট্রাফিক আইন বিষয়ে সচেতন করার জন্য কাজ শুরু করবেন।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আপনার সন্তানদের ১৮ বছরের আগে মোটরসাইকেল কিনে দিচ্ছেন তা ঠিক নয়। হেলমেট ছাড়া বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালাচ্ছে তা ঠিক নয়। সন্তানদের জন্য আপনাদের মায়া থাকতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও সড়কে মোটরসাইকেল চলতে দেয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা পদ্মা নদীর পাড়সহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে স্কুল ড্রেস পরে যারা ঘুরছে, তাদের সচেতন করেছি। এ ছাড়া তাদের অভিভাবকদের ডেকে জিম্মায় দিচ্ছি। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।’
সভায় চালক এবং অভিভাবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
এ সময় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) বিজয় বসাক, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শারমিন আকতার চুমকি, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মো. সাইদুর রহমানসহ পুলিশের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা