ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮-এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে মাত্র ২৯ শতাংশ নারী স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে। অর্থাৎ প্রায় ৭১ শতাংশ নারী এখনও স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে না। যদিও পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহার করার জন্য সার্ভিক্যাল ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহারের ফলে পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব এমনকি ক্যান্সার-এরও ঝুঁকি থাকে। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।
বাংলাদেশের সর্বস্তরের নারীদের জন্য পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই) থেকে হেলথ অ্যান্ড হাইজিন ক্যাটাগরিতে সাশ্রয়ী মূল্যে ‘ফ্রেশ অনন্যা’ স্যানিটারি ন্যাপকিন বাজারে আনা হয়। বাজারে আসার পরপরই, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মাঝে পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্যানিটারি ন্যাপকিন বিনামূল্যে বিতরণ সহ বিভিন্ন কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
পিরিয়ডকালীন সচেতনতা ও সুরক্ষায় ঢাকার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি, হাজারীবাগ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজসহ বিভিন্ন স্কুলের নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ ও পিরিয়ডকালীন হাইজিন ব্যবস্থাপনা নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করে ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন।
ঢাকাস্থ এনজিও ‘গিভ বাংলাদেশ’-এর গৃহীত উদ্যোগ ‘প্রজেক্ট কন্যা’-এর অংশ হিসেবে স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এমজিআই, গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এবং সংশ্লিষ্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ-এর কর্মকর্তাবৃন্দ। এই প্রচারণার মাধ্যমে 'ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন' দেশের স্কুল পর্যায়ে মেয়েদের পিরিয়ডকালীন সুরক্ষা ও সচেতনতা এবং একই সাথে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার বার্তা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা