আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:৪১
নেত্রকোনায় ককটেল বিস্ফোরণ-ভাঙচুরে মামলা, বিএনপির ৬ জন গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি, নেত্রকোনা

নেত্রকোনায় ককটেল বিস্ফোরণ-ভাঙচুরে মামলা, বিএনপির ৬ জন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা

দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার নেত্রকোনায় বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। সকালে শহরের বনোয়াপাড়া এলাকায় এই কর্মসূচি শেষে ককটেল বিস্ফোরণ ও সিএনজি-অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দলটির অঙ্গ সংগঠনের ছয়জন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার নেতারা হলেন নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সজল তালুকদার, নেত্রকোনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মোখশেদুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার শাহেদ, জেলার মদন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অলী উল্লাহ, নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব সাফায়াত হোসেন ও একই ইউনিয়নের শ্রমিক দলের সদস্য আব্দুল মান্নান।

পুলিশ ও বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে শহরের বনোয়াপাড়া মোড় এলাকায় নেত্রকোনা বিএনপির আহ্বায়ক চিকিৎসক মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্যসচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীর নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। সেখানে বক্তব্য শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের সামনে শেষ হয়। পরে নেতা-কর্মীরা চলে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে কুড়পাড় সিএনজি স্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তরা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ছয়জন যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরে দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪৫০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলায় আটক ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. লুৎফুল হক জানান, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানের নামে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণসহ অটোরিকশায় ভাঙচুর চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করার পাশাপাশি চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল, কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। ঘটনায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে ৩১ জনের নামসহ আরও অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।

তবে এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ডক্টর মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী মুঠোফোনে বলেন, ‘শনিবার সকালে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন শেষে নেতা-কর্মীরা ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগ নামধারী একদল যুবক কুড়পাড় সিএনজি স্টেশন এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও সেখানে সিএনজি ভাঙচুর চালায়। ওই দুর্বৃত্তদের হামলায় শ্রমিকদলের নেতা খায়রুল ইসলাম, শামছু মিয়া, ছাত্রদল নেতা রাকিব মিয়া, রফিকুল ইসলাম, যুবদল কর্মী বজলুর রাশেদসহ আটজন আহত হন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমেদ খান বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বিএনপিই এই কাজ করে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।’