আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:১১
আ.লীগ গণতন্ত্রের লেবাস পরে গণতন্ত্র হত্যা করেছে: মঈন খান

আ.লীগ গণতন্ত্রের লেবাস পরে গণতন্ত্র হত্যা করেছে: মঈন খান

ছবি: দৈনিক বাংলা

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের লেবাস পরে গণতন্ত্র হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মুখে যেটা বলি, কাজও সেটা করি। কিন্তু আওয়ামী লীগ মুখে যেটা বলে সেটা করে না, অন্যটা করে। যেমন তারা গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু বাস্তবে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে বিতাড়িত করেছে। শুধু আজ নয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করল, তখন সংসদে মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে গণতন্ত্রকে হত্যা করল।’

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারে এক দফার বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, ‘হাজার বছরের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেউ হরণ করতে পারেনি। আজ আওয়ামী লীগ সরকার এসে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকারের জন্য জীবন দিয়েছে। আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দল তাদের পদদলিত করতে পারবে না। তারা আবার জেগে উঠবে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।’

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, লগি বৈঠা দিয়ে গুম, খুন, হত্যা করে, গুলি করে কোনো পন্থায়ই বাংলাদেশের মানুষকে পদদলিত করা যাবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করি। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রাজপথে আছি এবং থাকব। দেশনেত্রীকে মুক্ত করব দেশে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মুখের উপরে বলতে হবে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা বাকশালের প্রতিনিধিত্ব করে। আর আমরা হচ্ছি শান্তির ও উদারনীতির রাজনৈতিক দল। আমরা প্রতিবাদ করছি, প্রতিবাদ করে যাব যতক্ষণ পর্যন্ত না এ সরকারের পতন হয়, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, সহ সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরীসহ অন্যরা।