প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়।
এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার বলেন, কর্তৃপক্ষ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে। এ অবস্থায় রোগীদের সেবার কথা বিবেচনায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পাশাপাশি রোগীর সঙ্গে একজনের বেশি স্বজন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে প্রবেশ না করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এই নেতা।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের কথা-কাটাকাটি হয়। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিযোগ, রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের হেনস্তা করেন। এ সময় চিকিৎসকরা দৌড়ে পাশের ওয়ার্ডে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডের ভেতরে চিকিৎসকের কক্ষে ও নার্সের কক্ষে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বৈঠক করে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ চারজনের নাম উল্লেখ করে সোমবার রাতেই সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছে। এর আগেই ইন্টার্ন চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটকও করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মামলায় পুলিশ রোগীর এই চার স্বজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। তবে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সুচিকিৎসা না পেয়ে ওই রোগী মারা গেছেন।
কর্মবিরতির ডাক দেয়ার পর সোমবার রাতে এক দফা ও মঙ্গলবার দুপুরে আরেক দফা বৈঠকে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। শেষ পর্যন্ত গতকাল তৃতীয় দফার বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলো।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা