ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ। এ ছাড়া তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ও দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে কথা বলেন দৈনিক বাংলার সঙ্গে। দৈনিক বাংলার পক্ষে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্থনীতিবিষয়ক লেখক এম এ খালেক।
এম এ খালেক: আপনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেন। আগে এ ধরনের অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম আমাদের দেশে ছিল না বললেই চলে। আপনি এ ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য কী কারণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
আতিউর রহমান: আমরা ২০০৯ সালের পর থেকেই ব্যাংকিং সেক্টরের স্থিতিশীলতার (স্ট্যাবিলিটি) জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সেন্ট্রাল ব্যাংকের কাজ শুধু ইনফ্লেশন টার্গেটিং না। সেন্ট্রাল ব্যাংকের আরও অনেক কিছু করার আছে। সেন্ট্রাল ব্যাংক সব সময়ই মাল্টি টার্গেট নিয়ে কাজ করবে। কারণ দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি সেন্ট্রাল ব্যাংকের বিশেষ কিছু দায়বদ্ধতা আছে। আমি সেই দায়বদ্ধতা থেকেই দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। সেন্ট্রাল ব্যাংক চূড়ান্ত লক্ষ্য হবে রিয়েল ইকোনমিকে পরিবর্তন করা। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও গতিশীল এবং ত্বরান্বিত করা। আমরা যদি অর্থনীতিতে পরিবর্তন করতে চাই, তাহলে দেশের রিয়েল মানুষগুলোকে তো ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে হবে। আমরা যদি নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীকে নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করি, তাহলে তো দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ব্যাংকিং সেবার বাইরে থেকে যাবে। সাধারণ মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থেকেই আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম গ্রহণ করি। এ ছাড়া একটি টেকনিক্যাল কারণও আছে। আমি এ-সংক্রান্ত বিষয়ে একটি লেখাও লিখেছি। আমি সেখানে বলার চেষ্টা করেছি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী এবং নিশ্চিত করে। এখন তো এটা প্রমাণিত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলো যদি আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং করত, তাহলে তাদের এই দুরবস্থায় পড়তে হতো না। আমি এ রকমভাবে হিসাব করি। আমি যদি ১০০টি করপোরেটের নিকট থেকে ১ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করি। এদের মধ্য থেকে যদি ২০ জন কোনো কারণে ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের বাইরে চলে যায়, তাহলে হয়তো তারা ২০০ কোটি টাকা নিয়ে চলে যাবে। এই অবস্থায় ব্যাংক সমস্যায় পড়তে পারে। কিন্তু আমি যদি ১০ লাখ লোকের নিকট থেকে ১ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করি, তাহলে তাদের মধ্য থেকে যদি ১০ হাজারজন চলে যায়, তাহলেও ব্যাংক সমস্যায় পড়বে না। আমানতের কোনো ঘাটতি পড়বে না।
এম এ খালেক: বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার এখনো জিডিপির ২১/২২ শতাংশ উঠানামা করছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৮ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। আপনার দৃষ্টিতে বাংলাদেশে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা কী?
আতিউর রহমান: সার্বিকভাবে বিনিয়োগের হার সম্ভবত জিডিপির ৩২-৩৩ শতাংশের মতো। কিন্তু ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার আরও কম। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার জিডিপির ২১-২২ শতাংশের মতো। ব্যক্তি খাতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয় না। আর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম গতিশীলতা অর্জন করে না। আগামীতে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার বাড়বে। এত দিন ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়েনি নানা কারণেই। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, দেশে অবকাঠামোগত ব্যবস্থা খুবই দুর্বল ছিল। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম উপকরণ হচ্ছে অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করা। দেশে বেশ কিছু বড় বড় স্থাপনা তৈরি হয়েছে। যেমন পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ার ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার উন্নয়নের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এসব জেলার বিনিয়োগকারীরা এখন নতুন নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। এসব জেলায় সঠিকভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। কাজেই আমরা এটা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, একটি দেশের দ্রুত এবং স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আধুনিক এবং কার্যকর অবকাঠামোগত উন্নয়ন খুবই জরুরি। বাংলাদেশ সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুতে যখন রেল যোগাযোগ শুরু হবে, মেট্রো রেল পুরোপুরি চালু হবে, তখন অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুততর হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ চলছে। এগুলো যখন পূর্ণমাত্রায় চালু হবে, তখন ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ অনেকটাই বেড়ে যাবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নের জোয়ার শুরু হবে।
এম এ খালেক: আপনি ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথা বললেন। বিদেশি উদ্যোক্তারা তাদের উদ্বৃত্ত পুঁজি নিয়ে আসবে। কিন্তু শ্রমশক্তি আমাদের অভ্যন্তরীণভাবে জোগান দিতে হবে। তবে আমাদের কি সে ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা আছে? আমরা কি প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ শ্রমশক্তি জোগান দেয়ার মতো পর্যায়ে আছি?
আতিউর রহমান: প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তির জোগান নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমরা খুব একটা প্রস্তুত নই। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার এই একটা দুর্বলতা। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মোটেও কর্মমুখী নয়। যারা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছেন, তাদের এ ক্ষেত্রে একটি বিশেষ প্রকল্প থাকা উচিত। তারা চেষ্টা করলে একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে শ্রমশক্তিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করে রাখা। যাতে তারা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করতে পারে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প স্থাপিত হবে। এসব প্রকল্পের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তির প্রয়োজন হবে। আগে থেকেই প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযুক্ত শ্রমশক্তি প্রস্তুত করে রাখা যেতে পারে। সিইএফ নামে একটি প্রকল্প শ্রমশক্তির প্রশিক্ষণের জন্য কাজ করছে। কিন্তু তাদের কাজ তেমন একটা গোছানো নয়। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যারা শিল্প-কারখানা স্থাপন করবেন তারা যদি শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করার ব্যবস্থা করতেন, তাহলে ভালো হতো। তারা বুঝতে পারত কী ধরনের লোক প্রয়োজন। ট্রেডভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া গেলে উপযুক্ত লোকবল তৈরি হতে পারে। তারা স্থানীয়ভাবে এবং বিদেশে গিয়ে তাদের যোগ্যতা অনুসারে কাজ করতে পারবে।
এম এ খালেক: পাকিস্তান তো আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা এখনো ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোনো নিশ্চয়তা পায়নি। বাংলাদেশ খুব সহজেই আইএমএফের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ঋণ অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার কীভাবে তুলনা করবেন?
আতিউর রহমান: আমি পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির কোনো তুলনাই করব না। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নানাভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। আর পাকিস্তান হচ্ছে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। তারা অর্থনৈতিক-সামাজিক কোনো দিক থেকেই বাংলাদেশের ধারেকাছে নেই। অর্থনৈতিকভাবে পাকিস্তান অত্যন্ত দুর্বল একটি রাষ্ট্র। কাজেই পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো তুলনা চলে না। আমরা তুলনা করব ভারতের সঙ্গে। দক্ষিণ এশিয়ার এখন দুটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬-৭ শতাংশের ওপরে। সেই দুটি রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। এ কথা ঠিক যে, ভারতের অর্থনীতি বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বড়। আমরা অর্থনীতির আকারের দিক থেকে ছোট হলেও আমরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতির দিকে ধাবিত হচ্ছি। ২০২৬ সালের মধ্যে আমাদের মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় যদি ৪ হাজার মার্কিন ডলার হয়ে যায়, তাহলে আমরা ওই হাইওয়েতে উঠে যাব, যেখানে থাইল্যান্ড উঠেছিল। পাকিস্তানের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের রপ্তানি সেক্টর আমাদের মতো এত বড় করতে পারেনি। বাংলাদেশ কৃষি খাতে যে জোর দিয়েছে, তার ফল আমরা হাতে হাতে পাচ্ছি। কৃষি খাতে বিশেষ জোর দেয়ার কারণে আমাদের দেশ খাদ্য উৎপাদনে অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে রয়েছে। নানা ধরনের আর্থিক সমস্যার মধ্যেই বাংলাদেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়নি। কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেক কাজ করছে। সরকারও কৃষিকে যথেষ্ট সহায়তা করছে।
এম এ খালেক: আইএমএফ সব খাতে ভর্তুকির পরিমাণ কমানোর জন্য শর্ত দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি খাতে ভর্তুকি দিয়ে চলেছে। এ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কিছু বলবেন কি?
আতিউর রহমান: আমরা আইএমএফকে আগেই বলেছি, ভর্তুকি কমানোর ক্ষেত্রে কৃষি খাতের ওপর হাত দেয়া চলবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা জেনেই আইএমএফ থেকে ঋণ গ্রহণে রাজি হয়েছেন। পৃথিবীতে কৃষি খাতে ভর্তুকি কমানোর কথা কেউই বলে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কোরিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে কৃষিতে ভর্তুকি দেয়া হয়। তাহলে আমাদের কৃষিতে ভর্তুকি দেয়ার ব্যাপারে নিষেধ করবে কীভাবে? প্রধানমন্ত্রী ভর্তুকি বলেন না, তিনি বলেন বিনিয়োগ। আমরা কৃষি খাতে বিনিয়োগ বাড়াবোই। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, কৃষি আমাকে খাদ্য দেবে, কর্মসংস্থান ও চাহিদা দেবে। আমাদের কৃষি সাম্প্রতিক সংকটকালে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে। আসন্ন বাজেটে কৃষি ও ক্ষুদে খাতের ওপর বাড়তি এই সমর্থন বজায় রাখতে হবে। আত্মশক্তিনির্ভর স্বদেশি অর্থনীতির প্রধান কৌশল।
এম এ খালেক: আমরা যতদূর জানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ইউনিট ব্যাংকিং পদ্ধতির। অর্থাৎ সামান্য কিছু শাখা নিয়ে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটেন ও বাংলাদেশে ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু রয়েছে। অর্থাৎ আমাদের এখানে কিছু সংখ্যক ব্যাংক বিপুল সংখ্যক শাখা নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইউনিট ব্যাংকিং ব্যবস্থা কোনো ব্যাংকের দু-একটি শাখা লোকসান দিলে বা বন্ধ হয়ে গেলে পুরো ব্যাংকের ওপর তার প্রভাব পড়ে। ইউনিট ব্যাংকিং ব্যবস্থার কারণেই কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?
আতিউর রহমান: এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুরবস্থার একটি কারণ হতে পারে। তাদের ব্যাংকের শাখা সংখ্যা যেমন অত্যন্ত কম, তেমনি তাদের ব্যাংকিং প্রোডাক্টও খুব কম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকের উদ্যোক্তারা আমানত সংগ্রহ এবং বিনিয়োগের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কিন্তু আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় শুধু ডিপোজিট কালেকশন এবং ল্যান্ডিং করলে চলে না। আরও অনেক কিছু করার আছে। আমরা রিকশাওয়ালাকেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। শিশুদেরও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছি। আমরা কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দিয়েছি। নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা আবর্তিত হয় না। কিন্তু মার্কিন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ভিন্নমুখিতা নেই বললেই চলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা শ্রেণিকে উদ্দেশ্য করে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ কারণে কোনো গোষ্ঠী ব্যাংকের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেললে সেই ব্যাংকের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা