আপডেট : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:১৯
১০ অক্টোবর ঢাকা-ভাঙ্গা রেললাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

১০ অক্টোবর ঢাকা-ভাঙ্গা রেললাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের একাংশ উদ্বোধন হবে আগামী ১০ অক্টোবর। সেদিন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন রেলপথ বিষয়ক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

তিনি দৈনিক বাংলাকে জানান, এই রেললাইন উদ্বোধনের আগে ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের রেললাইনে পরীক্ষামূলভাবে ট্রেন চালানো হবে (ট্রায়াল রান)। আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রায়াল রান আগামী ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ট্রায়াল ট্রেন ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু পেরিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত যাবে।

কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি (সারসংক্ষেপ) পাঠানো হয়েছে এবং সামারি অনুমোদন হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো জানানো হয়নি। অক্টোবরের শেষের দিকে যেকোনো সময় এটা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া খুলনা থেকে মোংলা রেললাইন প্রকল্প অক্টোবরের শেষে গিয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের সময় উদ্বোধন করা হবে। সম্ভাব্য তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর।’

তবে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠান কোন এলাকায় হবে সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।

সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা রেললাইন উদ্বোধন হলে প্রথমে চার স্টেশন চালু হবে। সেগুলো হলো- ঢাকা, মাওয়া, শিবচর, ভাঙ্গা। এই রেললাইন উদ্বোধনের পর শুরুতে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। এক মাস পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং স্টেশনও খুলে দেওয়া হবে।

বাণিজ্যিক অপারেশনের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, তিন মাসের মধ্যেই সব স্টেশনের কাজ এবং সিগন্যালিংয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। অর্থাৎ ঢাকা থেকে ভাঙ্গা রেললাইন উদ্বোধন হলেও ফুল ফেজে (পুরোপুরি) অপারেশনে যেতে তিন মাস সময় লাগবে।’

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য রেলওয়ে ২০১৬ সালের জুনে আলাদা প্রকল্প নেয়। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি)।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ থাকছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।