আপডেট : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:১৫
অনিয়ম করে ভিকারুননিসায় তিন শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ

অনিয়ম করে ভিকারুননিসায় তিন শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ

ফাইল ছবি

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়েই গোপনে তিন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানোর অভিযোগ উঠেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চার শিক্ষক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটির বেইলি রোড ও আজিমপুর শাখায় ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়। অর্থের বিনিময়ে এ ভর্তি করানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আনিসুর রহমান নামে এক অভিভাবক।

তবে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের কোটায় ওই সব শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম হয়নি। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই ভর্তি নেয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে ওই অভিভাবক শিক্ষাসচিব, দুদক চেয়ারম্যান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিভাগ কমিশনারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় প্রতিবছর আসন খালি থাকা সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে লটারি বা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রী ভর্তি করানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতি শিক্ষাবর্ষেই শিক্ষার্থী ভর্তিসংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে থাকে। সেই নীতিমালা অনুসরণ করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে আসন খালি না থাকায় দ্বিতীয় থেকে তদূর্ধ্ব শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করলেও অত্র প্রতিষ্ঠানের কতিপয় শিক্ষকের সহযোগিতায় বিভিন্ন শ্রেণিতে অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে তিন শিক্ষার্থীকে এ বছর ভর্তি করানো হয়েছে।

অভিযোগ অনুযায়ী ভর্তিকৃত ওই তিন শিক্ষার্থীকে ভিকারুননিসার শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ, শিক্ষক প্রতিনিধি চাঁদ সুলতানা, প্রধান শাখার দিবা বিভাগের প্রধান মো. শাহ আলম খান, আজিমপুর শাখাপ্রধান শাহরীমা চৌধুরীর সুপারিশ করেন। সুপারিশ অনুসারে অধ্যক্ষ ভর্তি চূড়ান্ত করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকরা কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তারা বলছেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের কোটা আছে। তার জন্য সুপারিশ লাগে না। তারা আমাদের কাছে আসেননি। শাখাপ্রধানদের মাধ্যমে সুপারিশ নিয়ে এসেছেন। আমরা ভর্তির এখতিয়ার রাখি না। সর্বোচ্চ সুপারিশ করতে পারি। আমরা বিধি অনুযায়ী বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেছি। ভর্তির বিবেচনা করার এখতিয়ার অধ্যক্ষের। অধ্যক্ষ নিয়ম অনুযায়ী ভর্তির অনুমোদন দিয়েছেন। কেউ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে এগুলো করছেন।’

এ বিষয়ে অভিযোগকারী আনিসুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘কলেজটির কয়েকজন শিক্ষক অনৈতিকভাবে এ ভর্তি করিয়েছেন। আগেও তারা এ ধরনের কাজ করেছেন। এতে করে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ার‌ম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যেই খতিয়ে দেখব।’