জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ নেই, নেই চিকিৎসার সুব্যবস্থা। আর বেসরকারি হাসপাতালে টাকা গুনতে গুনতে ফতুর হচ্ছে রোগীর পরিবার। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের যেন মাথাব্যথাই নেই। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনায় বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি।
রোববার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে, যা ডেঙ্গুতে মৃত্যুর এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। সাধারণ মানুষের ধারণা মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী সংকুলান হচ্ছে না। স্যালাইনের অভাবে হাহাকার উঠেছে রোগীর স্বজনদের মাঝে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, স্যালাইনের কোনো অভাব নেই অথচ হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন নেই। ফার্মেসিতে ৯০ টাকা দামের স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২৫০-৩০০ টাকায়। রোগীদের অভিযোগ নার্সদের মাধ্যমেই চিকিৎসা পাচ্ছেন রোগীরা। ২৪ ঘণ্টায় একবারও ডাক্তারের দেখা মেলে না সরকারি হাসপাতালে। অপরদিকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা ও সেবা পেলেও গুনতে হচ্ছে বিপুল অঙ্কের টাকা। বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা কেবিন ভাড়া, আইসিইউ ভাড়া, ওষুধ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিদর্শন বাবদ গুনতে হচ্ছে প্রায় লাখ টাকা। তবে হাসপাতাল ভেদে এই খরচ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ্য নেই। সাধারণ মানুষ যেন স্বাভাবিক চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার হারিয়েছে।
বিবৃতিতে কাদের আরও বলেন, দুই সিটি করপোরেশন শুধু মশা মারার ওষুধ ছিটিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে। স্প্রে করা ওষুধে মশা মরছে কি না, তাও দেখার কেউ নেই। জবাবদিহি থাকলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতো না। ডেঙ্গু নির্মূলে সরকারের ব্যর্থতা সাধারণ মানুষ মেনে নেবেন না।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা