দেশে পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে গ্যাস-বিদ্যুতের মতো ওয়াটার গ্রিড লাইন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে সিনেট ভবনে আয়োজিত 'দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে কমিউনিটি ভিত্তিক সুপেয় পানি অবকাঠামোর টেকসই শাসন: কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট প্লাস মডেলের একটি কেস স্টাডি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল এসব কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এছড়াও দেশে ১০০ টি অর্থনৈতিক জোন তৈরি হচ্ছে। দেশে অনেক নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা হচ্ছে। যেখানে প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন হবে। পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের পানি লবণাক্ত হওয়া ছাড়াও দেশের কিছু কিছু এলাকায় নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ তৈরির মাধ্যমে জোন এবং সাব-জোন করে পানি সরবরাহ করতে পারলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।’

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ বদরুল হাসান সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে সকলের জন্য উন্নত এবং নিরাপদ পানীয় জলের দুর্লভতা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। অনুমান করা হয় যে, বিশ্বের দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ এখনও নিরাপদ পানীয় জল পায় না।’

সুপেয় পানির সংকট নিরসনে কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট প্লাস (সিএম প্লাস) মডেলের রূপরেখা তুলে ধরেন বদরুল হাসান।

তিনি জানান, সিএম প্লাস মডেল হলো একটি শাসন ব্যবস্থা যেখানে পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ব্যবহারকারীদের এবং সরকারি বস্তবায়নকারী সংস্থা বা স্থানীয় এনজিওগুলির মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। কোনো পরিস্থিতিতে কমিউনিটি পানীয় জলের ব্যবস্থা টেকসই পরিচালনায় সিএম প্লাস মডেলটি সফল হতে পারে সে বিষয়ে অন্বেষণ করাই ছিল তার গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।

ঢাবি ভিসি অধ্যাপক মো: আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আইনুল ইসলামের পরিচালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান প্রমুখ।