সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলটি খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে চায়। না হলে তার মুক্তির জন্য বিএনপি লড়াই করত, আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করত। তার মুক্তির জন্য বারবার আদালতের দ্বারস্থ হতো।
সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা হলেই প্রতিদিন আপনারা আদালতের দ্বারস্থ হন জামিনের জন্য। নাইকো মামলা, এই মামলা, সেই মামলার জন্য আপনারা আদালতের দ্বারস্থ হন কিন্তু খালেদা জিয়ার জন্য কবে আদালতে গিয়েছিলেন? তার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসা একমাত্র আদালতের মাধ্যমেই হতে পারে, অন্য কোনো পথে নয়। আপনারা সেটা জানেন না? আপনারা তাকে জেলখানায় রাখতে চান, রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে চান।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সামনে দুটি পথ ছিল– আন্দোলনকে তীব্রতর করে তাকে মুক্ত করা অথবা বারবার আদালতের শরণাপন্ন হয়ে আদালতের মাধ্যমে তার মুক্তি নিশ্চিত করা, বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কোনোটাই আপনারা করেননি। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষা চাইতে পারতেন, তাও করেন না। আপনাদের উদ্দেশ্য তারেকের ফর্মুলাতে গিয়ে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করে জেলখানায় রাখা। আবার সরকারের দোষ দেন। সাঈদীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার তুলনা করেন।’
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিএনপি আমাদের পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তাদের স্লোগানই হচ্ছে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। আমরা যখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলি, তখন তারা বলে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। ’
বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান দূর্জয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও ছিলেন– বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. খাজা হোসেন, সহসভাপতি মো. আলমগীর হোসেন, মো. বশির আহমেদ বাদল, মো. শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তারেক আইয়ূব প্রমুখ।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা