জিয়াউর রহমানের আমলে বিচারবহির্ভূত গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে “বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী জিয়ার গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার অগ্নি সন্ত্রাসের ভুলষ্ঠিত মানবাধিকার শীর্ষক আলোচনা সভা” অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খান।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, একুশের পদপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যরা। এছাড়াও ভুক্তভোগীর ছেলে, মেয়ে, মা, বাবা এবং ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শুরুর আগে “গণদাবি-৭৭” এবং “অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ” নামে দুইটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করেন। বক্তারা অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘কিছু দেশ আমাদের মানবতা ও মানবাধিকারের কথা বলে কিন্তু ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল মানবতা? তিনি জিয়াউর রহমানকে খুনি আখ্যায়িত করেন এবং তার সময় গুম, খুন বিনা বিচারে হত্যা শুরু হয় বলে বলেন। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীকে ২১ বার হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।’

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমান বাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যা করা হয়।’

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করে মক্তিযুদ্ধমন্ত্রী গুম ও খুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। গুম,খুন ও অগ্নি সন্ত্রাসকারীরা যাতে আগামীতে আর কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।