সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রতিনিধি মোশাররফ শাহকে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মোশাররফকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মোশাররফের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে যেতেই মোশাররফকে ঘিরে ধরেন ১৫-২০ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। এরপর তার ওপর হামলা করে তারা। এ সময় মোশাররফকে লাঠি দিয়ে পেটাতে পেটাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, ‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে। ছাত্রলীগ নিয়ে কোনো নিউজ হবে না।’
সেখানে মারধর শেষে মোশাররফকে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলে। সেখানে তাকে দ্বিতীয় দফায় পেটানো হয়। এতে মোশাররফের হাত ও চোখের উপরে জখম হলে রক্ত বের হতে থাকে। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে হাত-মুখ ধুয়ে রক্ত মুছতে মোশাররফকে পানি দেন ছাত্রলীগকর্মীরা। ঠিক ওই মুহূর্তে পাশ দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কর্মরত গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য। তিনি বিষয়টি দেখতে পেয়ে মোশাররফের কাছে ছুটে যান। এরপর তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মোশাররফকে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
জানা গেছে, হামলাকারীরা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী ও সিএফসি গ্রুপের কর্মী।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, মোশাররফের চোখের উপরে কেটে গেছে। সেখানে চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। তার হাতেও আঘাত আছে। এক্সরে করাতে হবে তাই তার উন্নত চিকিৎসা জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, আমি এই ঘটনা শুনেছি। খোঁজ খবর নিচ্ছি। যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমি ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র গিয়েছি। তাকে চিকিৎসা জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় যারা এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা