কক্সবাজারে বিশ্ব পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। বালি দিয়ে নির্মিত ভাস্কর্য দুটির উচ্চতা ১৪ মিটার, প্রস্থ ১০ মিটার ও দৈর্ঘ্য ৭ ফিট।
বুধবার এ ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল আয়োজনের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন ও ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ইশতিয়াক আহমদ জয় প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের একঝাঁক শিক্ষার্থী নিয়ে কামরুল হাসান শিপনের নেতৃত্বে ভাস্কর্য দুটি তৈরি করা হয়। তৈরি করতে সময় লাগে ৭ দিন।
ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইশতিয়াক আহমদ জয় বলেন, ‘কক্সবাজারে যে উৎসব চলছে, তা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন। কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক বেড়াতে আসেন। বিশ্ব পর্যটন দিবসে পর্যটন মেলা উপভোগ করার জন্য প্রতিবারের চেয়ে এবার লোকজনের ভিড় বাড়ছে। তাদের হৃদয়ে যেন বঙ্গবন্ধু ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শ গেঁথে থাকে, সেই উদ্দেশ্যে এই বালু ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা।’
তিনি বলেন, ‘২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন। সেই প্রেক্ষিতে এই ভাস্কর্য আরও বেশি পূর্ণতা পেয়েছে।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘পর্যটন মেলাকে আরও বেশি সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে এই বালু ভাস্কর্য। ভাস্কর্য দেখতে নানা বয়সের মানুষ আসবে। বালু ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীকে দেখে তারা ইতিহাস জানার চেষ্টা করবে এবং মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকে ধারণ করবে। সপ্তাহজুড়ে চলমান পর্যটনমেলায় দেশি বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ ও ছাড় রয়েছে। সারা দেশ থেকে পর্যটকরা কক্সবাজার এসে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করুক।’
সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ঘিরে অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার শহর। টানা তিন দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে কক্সবাজার শহর ও কার্নিভালে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা