চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় ছাত্রলীগের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার ওসমানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ নোমান ওসমানপুর এলাকার প্রয়াত নুরুজ্জামানের ছেলে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বিকেলে ওসমানপুর ইউনিয়নে বিএনপির কর্মসূচি ছিল। এসময় ছাত্রলীগও পাশাপাশি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে বিএনপির লোকজন মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করে। হামলায় নোমান নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে দাবি করছেন। এ ঘটনায় আরও ৫-৬ জন আহত হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ওসমানপুর ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ‘আজমপুর বাজারে বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী নুরুল আমিনের প্রোগ্রাম ছিল। এসময় খবর পেয়ে আমরা এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিই। প্রোগ্রাম শেষে তারা লাঠিসোঁটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে মুহুরী প্রজেক্ট থেকে আজমপুর বাজার পর্যন্ত ভাঙচুর চালায়। আমাদের পার্টি অফিসেও হামলা করে। আমাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না, তারা আমাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ নেতা হাসান রাফি আরফিন, যুবলীগ নেতা সাত্তার সুজন দুখু, ছাত্রলীগ কর্মী নোমানসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করে। তাদের মধ্যে নোমানের মৃত্যু হয়েছে।’
পুরো হামলা বিএনপি নেতা নুরুল আমিনের নির্দেশেই হয়েছে বলে ধারণা সঞ্জয় মল্লিকের।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা