আপডেট : ৮ অক্টোবর, ২০২৩ ১৭:০০
মাদকসেবী গ্যাং ছুরিকাঘাতে হত্যা করে শুকুরকে, গ্রেপ্তার ৫
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

মাদকসেবী গ্যাং ছুরিকাঘাতে হত্যা করে শুকুরকে, গ্রেপ্তার ৫

সবজি বিক্রেতা শুকুর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজন।

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে গত ১ অক্টোবর ভোরে সবজি বিক্রেতা শুকুর হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন ইমন (২৫), রুবেল (৩২), দীপু (২২), মন্টু (২০ ও হানিফ (২৮)। পুলিশ বলছে, মাদকের টাকা যোগাড় করতে উন্মত্ত হয়ে ওঠা এই গ্যাং এক পর্যায়ে শুকুরকে টার্গেট করে এবং তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে কাছে থাকা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

রোববার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার জানান, সেদিন ভোরে শুকুর সবজি কেনার জন্য মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের পাউসার গ্রাম থেকে ঢাকার শ্যামবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তিনি দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার আমবাগিচা খালপাড়স্থ গদু মাস্তানের মাজারের সামনে পৌঁছামাত্রই ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শুকুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে রাস্তার ওপর ফেলে যায়।

এ ঘটনায় শুকুরের বাবা শেখ ওয়াজউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের একটি বিশেষ টিম হত্যাকাণ্ড তদন্তে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে কেরাণীগঞ্জ, ডিএমপি ও রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সুপার জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সবাই মাদকাসক্ত এবং পেশাদার ছিনতাইকারী। ছিনতাই করা টাকা দিয়ে তারা মাদক সেবন করে থাকে। ঘটনার দিন মাদকের টাকা জোগাড় করতে আসামিরা সারারাত ছিনতাই করার জন্য টার্গেট খুজঁছিলে। সারারাত তারা কোনো সহজ টার্গেট খুঁজে পায়নি। এক পর্যায়ে ভোরে তারা বেশ উগ্র হয়ে যায়। এমন সময় সবজি বিক্রেতা শুকুর রিকশায় করে সবজি কেনার উদ্দেশ্যে আমবাগিচা খালপাড় রাস্তা দিয়ে শ্যামবাজারের সবজির আড়তে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শুকুরের রিকশার গতিরোধ করে ইমন ও রুবেল। রুবেল রিকশা আটকে রাখে এবং ইমন সবজি ব্যবসায়ী শুকুরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এসময় দীপু, মন্টু ও হানিফ রাস্তা পাহারা দিচ্ছিল যাতে কোনো লোক দেখে না ফেলে।

ছিনতাইয়ের পর ইমন ও রুবেল সবজি ব্যবসায়ী শুকুরের কাছে ৩০ হাজার টাকা পায়, যা দিয়ে তারা সবাই মিলে মাদক সেবন করে, যোগ করেন পুলিশ সুপার।