২০ বছরে পা দিল দেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্স। ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছিল এক অনুষ্ঠানের। রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্য দিয়ে জানানো হয় নতুন বেশ কয়েকটি খবর।

আয়োজিত সন্ধ্যায় কেক কাটার পাশাপাশি ছিল মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশনা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন করপোরেট ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র ও অন্যান্য অঙ্গনের তারকারা।

দেশের সিনেমাকে উৎসাহিত করতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ বছরের ৩টি সিনেমাকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। ‘১৯৭১: সেইসব দিনগুলি’, ‘প্রহেলিকা’ ও ‘অন্তর্জাল’ টিম উপস্থিত থেকে সে সম্মাননা গ্রহণ করেন।

বর্ষপূর্তির আয়োজনে স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল জানান, বর্তমানে দেশজুড়ে তাদের ১৯টি স্ক্রিন চালু রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে সেটা ৪০-এর প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের শুরুটা বেশ কঠিন ছিল, কিন্তু এখন যেভাবে ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে, এ অবস্থায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ২১টি স্ক্রিন চালু করব। আগামী বছরের শুরুতে চালু হবে ঢাকার উত্তরা, সিদ্ধেশ্বরী (নারায়ণগঞ্জ), বগুড়া, কুমিল্লা, কক্সবাজারসহ একাধিক স্ক্রিনের সিনেপ্লেক্স। আমাদের টার্গেট ১০০ স্ক্রিন চালু করা। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছি।’

তিনি জানান, এ বছর ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’র মাধ্যমে দারুণ ব্যবসা করেছে সিনেপ্লেক্স। কথার শেষে যোগ করেন, ‘এ বছর হলিউডের ছবির চেয়েও দেশের ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’ ভালো চলেছে। এভাবে যদি বছরে কমপক্ষে ১০টি ভালো কনটেন্ট দেয়া যায় তাহলে আরও বেশি স্ক্রিন বাড়ানোর উৎসাহ পাব আমরা।’

সিনেপ্লেক্সের বর্ষপূর্তির আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, এবিএম সুমন, নির্মাতা হিমেল আশরাফ, দীপংকর দীপন, মোস্তফা কামাল রাজ, সংগীতশিল্পী মুজা, গায়িকা-অভিনেত্রী জেফার, গায়িকা দিনাত জাহান মুন্নী, নির্মাতা তানিম রহমান অংশুসহ অনেকে।

সিনেমা প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রযোজনায়ও নাম লিখিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স। ২০১৯ সালে মুক্তি পায় তাদের প্রথম প্রযোজিত সিনেমা ‘ন ডরাই’। তানিম রহমান অংশু নির্মিত ছবিটি দর্শকের সাড়া এবং পুরস্কার উভয়ই জিতেছিল। বর্তমানে একাধিক সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ চলছে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার। আগামী বছরই সেগুলোর কাজ শুরু হবে বলেও জানান।

২০০৪ সালে চালু হওয়া সিনেপ্লেক্স বর্তমানে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার, ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার, বিজয় সরণির সামরিক জাদুঘর, মিরপুরের সনি স্কয়ার, চট্টগ্রামের বালি আর্কিড ও রাজশাহী হাইটেক পার্ক মিলিয়ে সাতটি শাখায় স্টার সিনেপ্লেক্সের ১৯টি স্ক্রিন চালু রয়েছে।