আপডেট : ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:৩৫
‘লিভার প্রতিস্থাপনে খালেদাকে জরুরি বিদেশে নেয়া দরকার’
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘লিভার প্রতিস্থাপনে খালেদাকে জরুরি বিদেশে নেয়া দরকার’

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কনফারেন্স হলে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় নিয়োজিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। তারা বলছেন, লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য খালেদা জিয়াকে জরুরিভিত্তিতে বিদেশে নেয়া দরকার।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালের কনফারেন্স হলে সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এসব কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক ডা. এস এম সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পেটে ও বুকে পানি জমেছে। সেই পানি ঝরছে। লিভার জীবাণু আক্রান্ত হয়ে গেছে। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বাসায় নেয়ার মতো অবস্থা নেই। তাকে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। তিনি মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে আছেন।’

খালেদা জিয়াকে আরও আগেই বিদেশে চিকিৎসা দেয়া উচিত ছিল উল্লেখ করে এস এম সিদ্দিকী বলেন, ‘সাধ্য মতো চেষ্টা করছি। কিন্তু সীমাবদ্ধতা আছে। খালেদা জিয়ার ভালো চিকিৎসার সুযোগ আছে, সেটা দেশের বাইরে। তাকে বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া দরকার।’

খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জরুরিভিত্তিতে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। না হলে যেকোনো সময় তিনি মারা যেতে পারেন। লিভারের সংক্রমণে বারবার পেটে পানি জমছে তার। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও কাজ হচ্ছে না।’

খালেদা জিয়া ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে জানিয়ে চিকিৎসক এস এম সিদ্দিকী বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় খালেদা জিয়াকে এ পর্যন্ত চার ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। দুই বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে তার পেটে ও হৃদযন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতো না। এত আশঙ্কাজনক হতো না।’

বাংলাদেশে টিপস ও লিভার প্রতিস্থাপন হয় না উল্লেখ করে মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক বলেন, ‘২০০৬ ও ২০০৮ সালে বারডেমে পরীক্ষামূলকভাবে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু হলেও সেটি অব্যাহত রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু দিন আগে পরীক্ষামূলক চালু হয়েও আবার বন্ধ হয়ে গেছে।’

দেশে খালেদা জিয়ার আর কোনো চিকিৎসা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় শুধু অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে তিনি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে তার ওপর হয়ত আর কোনো অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। পানি বের করার জন্য কিছুদিন পরপর তাকে সিসিইউতে নেয়া হচ্ছে।’