আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ২০:২৯
আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘মুজিব’ বায়োপিক দেখলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘মুজিব’ বায়োপিক দেখলেন অ্যাটর্নি জেনারেল

উচ্চ আদালতে নিয়োজিত রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ বায়োপিক দেখেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং সেন্টারের স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটি দেখেন তারা।

অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিকসহ ২৬২ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুদারও হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখেন।

সিনেমাটি দেখে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুজিব একটি চেতনার নাম। এই সিনেমার মাধ্যমে বাঙালি জাতির ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। বাঙ্গালির জন্য, দেশের জন্য তিনি কীভাবে সংগ্রাম করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেটি তুলে তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা পড়ে আমার মনে হয়েছে, আমার অফিসের সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে যদি মুভিটি দেখতে পারি তাহলে সবার জন্যই ভালো হবে। সেই কারণে এসে দেখলাম।’ নতুন প্রজন্মের সবাইকে এই মুভি দেখার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির আইনজীবীরা সিনেমাটির প্রদর্শন বন্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তারা বলেছেন, ‘এখানে বিতর্কিতভাবে জিয়াউর রহমানকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সঠিক ইতিহাস সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে, বিন্দুমাত্র বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। আমি তাদেরকে বলব তারা যেন এসে সিনেমাটি দেখেন।’

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর যে আত্মত্যাগ, বলিষ্ট ভুমিকা, সেটি তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের যারা নতুন প্রজন্ম সেটি সত্যিকারভাবে অনুধাবন করতে পারবে। এই সিনেমার মাধ্যমে আমরাও অনেক বিষয় জেনেছি। ছোট ছোট অনেক বিষয় ফুটে উঠেছে।’

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘আমরা ২৬২ জন আজকে সিনেমাটি দেখেছি এক সঙ্গে। সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, কীভাবে বিপদগামী সেনা কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। মুভিটি শেষের দিকে যে নির্মম হত্যার ঘটনাটি দেখানো হয়েছে তাতে আমরা সবাই বাকরুদ্ধ।’ এটি দেশের সব মানুষকে দেখা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

সিনেমাটি দেখার পর বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি জেসমিন সুলতানা।

তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘একটি পরিবারের সবাইকে নৃসংশভাবে যে হত্যার দৃশ্য সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ্য করেছেন কীভাবে, সেটাই ভাবতে পারছি না। আল্লাহ ওনাকে অনেক সহ্য ক্ষমতা দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘নির্মম এই দৃশ্য দেখার পর বলার মতো কিছু থাকে না।’

মুজিব শতবর্ষ উযাপনে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি নির্মণা করা হয়। ২ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ সিনেমাটি বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় করা হয়েছে।

সিনেমাটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে আরিফিন শুভ, শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনা চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, আবদুল হামিদ খান ভাসানী চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ অভিনয় করেছেন।

গত ১৩ অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশের সিনেমা হলে ছবিটি প্রদর্শন শুরু হয়।