আপডেট : ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:৫৩
‘হাঁটা, বসা, দৌড়ানো’র পর ‘হামাগুড়ি’ কর্মসূচি দেবে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

‘হাঁটা, বসা, দৌড়ানো’র পর ‘হামাগুড়ি’ কর্মসূচি দেবে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি হাঁটা, বসা, দৌড়ানো কর্মসূচির পর সামনে হয়তো ‘হামাগুড়ি’ কর্মসূচি দেবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “এখন তারা ক’দিন পরপর কর্মসূচি দেয়। হাঁটা, বসা, দৌড়ানো কর্মসূচির পর সামনে হয়তো হামাগুড়ি কর্মসূচি দেবে।’

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে আনোয়ারার কেইপিজেড ময়দানে জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলীয় জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি সমাবেশের অনুমতি দেয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, বিএনপি আমাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। তারা আমাদের লাঠিপেটা করেছে, মতিয়া চৌধুরীর মতো জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদকে টানা-হেঁচড়া করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এই দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেয়া হবে না, গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার যে ষড়যন্ত্র চলছে সেই ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করা হবে।’

এ দিন ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি আজ ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল, আমরা অনুমতি দিয়েছি। নাও দিতে পারতাম কিন্তু দিয়েছি। এটাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল হবে।’

‘কিন্তু মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ শুধু রাজনৈতিক দল নয়, আওয়ামী লীগ একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের নাম, আর আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, যার শিরায়-ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, যে রক্ত আপস জানে না, পরাভব মানে না। তাই নয়াপল্টনে ৩০-৪০ বা ৫০ হাজার লোক সমাবেশ করে লাভ নেই, যেখানে গুলিস্তানের মোড়ে পাগল নাচলেও ১০-২০ হাজার লোক জড়ো হয়।’

সদ্য উদ্বোধন করা টানেল সম্পর্কে চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে সড়ক টানেল এটিই প্রথম। পাহাড়ের তলদেশে টানেল, নদীর তলদেশে রেল টানেল থাকলেও নদীর নিচ দিয়ে সড়ক টানেল দক্ষিণ এশিয়ায় আর কোথাও নেই।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী এক লাখ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যার ফলে ঢাকার মতো চট্টগ্রামকেও আর আকাশ থেকে চেনা যায় না, ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর মনে হয়।’

উল্লেখ্য, প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চার বছর ৮ মাসে চীনের সহযোগিতায় কর্ণফুলী নদীর ১৫০ ফুট পর্যন্ত গভীরে নির্মিত ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ সড়কটি চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পতেঙ্গার সঙ্গে শিল্পসমৃদ্ধ আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসা চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিন পিংকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেল নির্মাণ শুরু হয়।