মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বাডস্ রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নার্সারি শ্রেনির ছাত্র নাঈম উর রহমানকে ক্লাসে ফেরাতে ব্যবস্থা গ্রহণে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
নোটিশে নাঈমকে ফিরিয়ে নিতে এবং তার ওপর চলমান মানসিক নিপীড়ন বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিমকোর্টের ১১ আইনজীবী এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
সাত দিন সময় দিয়ে শিশু নাঈম উর রহমানের ওপর চলমান অমানবিক ও মানসিক নিপীড়ন বন্ধ করতে এবং তাকে ক্লাসে ফিরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, “গত ৪ নভেম্বর ‘প্রতিদিন স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে থাকে শিশু নাঈম’ শিরোনামে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সংবাদে বলা হয়, ‘১ বছরের অধিক সময় ধরে শিশু নাঈম উর রহমান প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্কুলের পোশাক পরে। এরপর স্কুল ব্যাগ নিয়ে তার যমজ ভাইয়ের সঙ্গে স্কুলের গেইট পর্যন্ত আসে। কিন্তু গেইটে তাকে আটকে দেয়া হয়। তার সহপাঠী ও অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যখন শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে বা টিফিনের সময় মাঠে খেলাধুলায় অংশ নিচ্ছে তখন গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে বিষন্ন মনে তা দেখছে নাঈম। স্কুল ছুটি পর্যন্ত সে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে স্কুলের প্রধান গেইটে। ছুটি হলে ভাইয়ের সাথে বাসায় ফিরে যায়। গত এক বছর ধরে চলছে এমন ঘটনা।”
নোটিশকারি আইনজীবি মো. আসাদ উদ্দিন বলেন, ‘নাঈমের যমজ ভাইয়ের জন্য স্কুলের প্রধান ফটক উন্মুক্ত হলেও নাঈমের জন্য ফটকটি বন্ধ রয়েছে ১৩ মাস ধরে। বিধি মোতাবেক স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও বেতন পরিশোধ করলেও সে স্কুলের উপযোগী নয়, কথা বলতে পারে না, পেন্সিল ধরতে পারে না, দুষ্টামি করে এমন অজুহাতে তাকে অনেকটা অবাঞ্ছিত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যা আইনের সুস্পষ্ট লংঘন এবং মানবাধিকার ও শিশু অধিকারের প্রতি অবমাননা ও অবজ্ঞা প্রদর্শন।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা